জুমবাংলা ডেস্ক : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আজ একটি আওয়াজ সর্ব মহলে—ভারতী পণ্য বর্জন। দেশের মানুষ এটি খুশিতে করেননি। দীর্ঘ দিনের বঞ্চনা, অপমান, লাঞ্চনা এবং ক্ষোভ থেকে তারা এটি করছেন। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিতেই পারেন। কিন্তু এটি আজ সব মহলে গ্রহযোগ্যতা পেয়েছে। সুতরাং ভারতীয় পণ্য বর্জনে আমরা যে সংহতি জানিয়েছি, তা বাংলাদেশের জনগণ ও গণতস্ত্রের পক্ষে।’
রবিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ভারতের নীতিনির্ধারকরা বন্ধুত্বের কথা বলেন, কিন্তু তারা বাংলাদেশের অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা দেবেন না, প্রতিদিন সীমান্তে মানুষ হত্যা করবে, একতরফা বাণিজ্য করবেন তা তো হবে না। এই যে অন্যায়-অপকর্ম এটি বাংলাদেশের মানুষকে প্রতিবাদী করেছে। ভারত বাংলাদেশের সাথে ভারসাম্যমূলক বাণিজ্য করতে চায় না, তারা চায় বড়ভাই সূলভ আচরণ করতে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তারা জনগণের সাথে বন্ধুত্ব করতে চায় না, তারা একটি দলের সাথে বন্ধুত্ব করতে চায়। কীভাবে ভারত একটি ফ্যাসিবাদী সরকারকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি তারা একই ঘটনা ঘটিয়েছে। বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ জনগণের বিরুদ্ধে তারা অবস্থান নিয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৭২ সালে ভারতের একতরফা নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, তিনি পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য আন্দোলন করেছেন। এ দেশের বাম রাজনৈতিক দলগুলো ভারতের একতরফা নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। ভারতেকে তারা আদিপত্যবাদী শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে তারা তাদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়েছে। সমালোচনা করেছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানও ভারতের কাছ থেকে ন্যায্য হিস্যা পেতে নানাভাবে কাজ করেছেন। সুতরাং ভারতীয় পণ্য বর্জনে আমরা যে সংহতি জানিয়েছি, তা বাংলাদেমের জনগণের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।