বিনোদন ডেস্ক : সিনেমার পর্দায় যেকোনো চরিত্রে অভিনয় করতে ঠিক কতটা পরিশ্রম করতে হয় অভিনেতাদের কিংবা একটা চরিত্রকে রক্তমাংসে জীবন্ত করতে আসলে কতখানি ঘাম-রক্ত ঝরে সেটারই প্রমাণ পাওয়া যায় রণদীপ হুদার ‘সরবজিৎ’ ছবির আড়ালে।
‘সরবজিৎ’ হতে দিনের পর দিন না খেয়ে কাটান তিনি। তার মা বলেছিলেন নিজেকে শেষ করে দিচ্ছিস রণদীপ। পর্দার ‘সরবজিৎ’ হয়ে উঠতে দিনের পর দিন নিজের শরীর-স্বাস্থ্য পণ করছেন ছেলে, এমনটা সইতে পারেননি তার মা।
‘হাইওয়ে’ থেকে ‘সুলতান’ এই সিনেমাগুলোতে বরাবরই সবার নজর কেড়ে এসেছেন মডেল অভিনেতা। এক একটি চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলেছেন তার বলিষ্ঠ অভিনয়ে। কিন্তু ২০১৬-র ছবি ‘সরবজিৎ’-এর মূল চরিত্র হয়ে উঠতে শুধু অভিনয় নয়, জরুরি ছিল তার শারীরিক পরিবর্তন। আর সেই কঠোর অধ্যবসায়ে ৩০ কেজি ওজন কমাতে হয়েছিল রণদীপকে।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, চরিত্রের বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে গিয়ে তিনি জানতে পেরেছিলেন, কীভাবে জেলের ছোট্ট কুঠুরিতে প্রায় না খেয়েই দিন কাটত ‘সরবজিৎ’-এর। তাই সেই যন্ত্রণাকে এবং তার মানসিক পরিস্থিতিকে নিজে উপলব্ধি করতে অভিনেতাও সিদ্ধান্ত নেন, তিনিও উপোস করেই কাটাবেন প্রস্তুতি ও শ্যুটিংয়ের দিনগুলো।
রণদীপের কথায়, সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফেলেছিলাম। যত ওজন কমত, ততই খাওয়া কমিয়ে দিতাম আরও।
শেষ ১৮ কেজির সময় অনেক কষ্ট হয়, কিন্তু তবুও তিনি হাল ছাড়েন না । তার মা তখন তার কাছে ছিল। কিন্তু রণদীপের মা একটা চরিত্রের জন্য যে তার ছেলে এভাবে না খেয়ে কাটিয়ে এতটা রোগা হয়ে যাচ্ছে, মেনে নিতে পারছিলেন না কিছুতেই। এমনকি রণদীপ এভাবে নিজেকে শেষ করে দিচ্ছে দেখে শেষমেশ হরিয়ানায় ফিরে যান তার মা।
রোজ মলমূত্র খাবো, যদি তাতে বয়স ধরে রাখা যায় : কিম কার্দাশিয়ান
২০১৬ সালের এই ছবিতে রণদীপ ছাড়াও ছিলেন ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন, দর্শন কুমার প্রমুখ। রণদীপকে শেষ দেখা গিয়েছে ২০২১ সালে প্রভুদেবা পরিচালিত ‘রাধে’ ছবিতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।