আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার পাঠানো চন্দ্রযান লুনা-২৫ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাঁদেই বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস। ৪৭ বছর পর পাঠানো লুনা-২৫ নামের মহাকাশযানটি চাঁদে বিধ্বস্ত হওয়ায় পর রাশিয়ার মহাকাশ শক্তি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। তাহলে কী ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে দেশটির মহাকাশ শক্তি? খবর বিবিসির।
গতকাল রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের কক্ষপথ নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় লুনা-২৫ নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং এরপরেই বিধ্বস্ত হয়। রসকসমস গত শনিবার সকালে জানায়, গ্রিনিচ মান সময় ১১:৫৭ মিনিটে লুনা-২৫ চন্দ্রযানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
প্রাথমিকভাবে তথ্য-প্রমাণের পর সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ৮০০ কেজি ওজনের চন্দ্রযানটি চাঁদের উপরিভাগের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়ে বিধ্বস্ত হয়। সোমবার মহাকাশযানটির চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
এই চন্দ্রযান বিধ্বস্ত হওয়া রাশিয়ার রসকসমস-এর জন্য একটি বিশাল ক্ষতি। গত বেশ কয়েক বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানটির অবনমন হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বাজেটের একটি বড় অংশ সামরিক খাতে ব্যয় করা হচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অভিযানের ব্যর্থতা থেকে রাশিয়ার মহাকাশ শক্তি যে ক্ষয়িষ্ণু অবস্থায় তা পরিষ্কার হয়ে উঠছে। এক সময়ে মহাকাশ অভিযানে সোভিয়েত রাশিয়ার বিশাল ভূমিকা ছিল কিন্তু এখন তা পতনের পথে।
চন্দ্রপৃষ্ঠে রাশিয়ার মহাকাশযান বিধ্বস্তের ঘটনা এমন সময় ঘটল যখন দুই ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশটি বহু দশকের মধ্যে বড় ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্থলযুদ্ধ যার প্রধান কারণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।