জুমবাংলা ডেস্ক : সাগরে জেলেদের জালে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের পাশাপাশি ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ। ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে। সমুদ্রে মাছ শিকারে ৬৫ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে ২৩ জুলাই মধ্যরাত থেকে ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যাচ্ছে জেলেরা।
নিষেধাজ্ঞার পর সাত দিনে ওই মৎস্যঘাটে প্রায় ১০০ টন সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হয়েছে। যার মধ্যে ৭০ টনই ইলিশ। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকায় মাছ শিকারে যাওয়া অনেক ট্রলার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ঘাটে ফিরছে।
পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। প্রতিদিন সমুদ্র থেকে ১০-১৫ ট্রলার মাছ মাছ নিয়ে ফিরছে। তার মধ্যে ছোট-বড় ট্রলারে মাছ শিকার করে কেউ ফিরেছে একদিনে, আবার কেউ কেউ ফিরেছে সাত থেকে আট দিন পর। প্রতিটি ট্রলারেই বিভিন্ন প্রজাতির মাছসহ ইলিশ বোঝাই করে জেলেরা ফিরছে ঘাটে।
সমুদ্রে বড় আকৃতির ইলিশ ধরা পড়ায় ভালো দামও পাচ্ছে তারা। এতে প্রতিদিন অনেক টাকার মাছ বিক্রি হচ্ছে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে।
পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্র থেকে সাত দিনের প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞা শেষে ২৪ জুলাই ঘাটে আসে সাড়ে সাত টন মাছ, যার সাড়ে পাঁচ টনই ইলিশ। ২৫ জুলাই সাড়ে ১৪ টন মাছের মধ্যে সাড়ে ১১ টন ইলিশ, ২৬ জুলাই সাড়ে ১৯ টন মাছের মধ্যে সাড়ে ১২ টন ইলিশ, ২৭ জুলাই ১৪ টন মাছের মধ্যে নয় টন ইলিশ, ২৮ জুলাই ১৪ টন মাছের মধ্যে ১১ টন ইলিশ, ২৯ জুলাই সাড়ে ১৫ টন মাছের মধ্যে নয় টন ইলিশ, ৩০ জুলাই সাড়ে ১৪ টন মাছের মধ্যে প্রায় সাড়ে আট টন ইলিশ এসেছে।
এতে গত সাত দিনে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে সাত লাখ ৭৯ হাজার ৩৭০ টাকা।
‘টিপ টিপ বর্ষা পানি’, গানে উদ্দাম ড্যান্স দিয়ে ঝড় তুললো যুবতী
পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রের সহকারী বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিপন হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর যে আবহাওয়া তাতে সমুদ্রে মাছের পরিমাণ বেশি। এ অবতরণকেন্দ্রে বিক্রিত মাছের দামের শতকরা এক দশমিক পচিশ ভাগ রাজস্ব আদায় করে সরকার। এতে সমুদ্রে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং যে আকৃতির মাছ পাওয়া যায় তা ভালো দামে বিক্রি হওয়ায় সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।