স্পোর্টস ডেস্ক : সাকিব আল হাসান আর বিতর্ক যেন এক মায়ের দুই সন্তান। এর আগেও নানা বিতর্কে জড়িয়ে সমালোচনা কুড়িয়েছেন। সম্প্রতি একটি জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বড় অংকের চুক্তি করে আবারও আলোচনায় সাকিব।
অবস্থা এমনই দাঁড়িয়েছিল, এই চুক্তি না ছাড়লে বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাকিব-অধ্যায় শেষ হয়ে যাবে, এমন হুমকিও দেয় বিসিবি। অবশেষে সাকিব চুক্তি বাতিল করেছেন। তবে অনেক জল ঘোলা করে।
চারিদিকে একটি প্রশ্ন নতুন করে ডালপালা মেলছে-সাকিবের কাছে কি টাকাই সব? তিনি কি এই চুক্তিতে নাম জড়ানোর আগে একবারও নিজের ইমেজের কথা ভাবেননি?
যে কোনো মূল্যে টাকা কামাতে হবে, সাকিবের এমন মনোভাব নিয়ে এবার একহাত নিলেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে ধুয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রস্তাব দিয়েছেন, নিজের কাছে থাকা ৩ লাখ টাকা সাকিবকে দেওয়ার।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমার কাছে ৩ লাখ টাকা আছে পারিবারিক খরচের জন্য। আমার কাছে মনে হয়, সাকিবকে যদি ৩ লাখ টাকা দেই, তবু যদি তার টাকা ইনকামের জন্য ভেতর থেকে যে ক্রাশ, সেটা যদি কমে।’
‘সাকিব জুয়ার তথ্য গোপনের দায়ে এক বছর ক্রিকেটে নিষিদ্ধ ছিলেন। ইদানীং আবার একটি জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠানের সাথে শুভেচ্ছাদূত হওয়ার কারণে বিসিবি তাকে বলছে, হয় ক্রিকেট খেলবে না হয় জুয়াতে যাবে। বাধ্য হয়ে তিনি এই চুক্তি বাতিল করেছেন।
দায়িত্ব কি সব রাজনীতিবিদদের? এই লোকটার দেড় কোটি ফলোয়ার। সব ইয়াং ফলোয়ার। তার যত কর্মকাণ্ড, মানুষ বলে নিজের জন্য সে খেলে, দেশের জন্য খেলে না। সাকিব টাকার বিষয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ করে না।’
এই যে একজন ক্রিকেটার সেলেব্রেটি, তিনি বাংলাদেশের তরুণদের কি সিগন্যাল দিয়ে যাচ্ছেন? তিনি বোঝাচ্ছেন, যেভাবে পারো টাকা ইনকাম করো বাংলাদেশের মাটি-বাতাস ব্যবহার করে। তুমি সেলেব্রেটি হওয়ার পর বাংলাদেশের চিন্তা বাদ দাও।’
সাকিব এটা বলছেন তরুণদের, জুয়া হোক যেভাবে হোক সুযোগ পেলে জুয়ার মাধ্যমে দেশ বেচে ফেলো, তবু তুমি বউ-বাচ্চা নিয়ে আরামে থাকো।’
সাকিবকে টাকার কথা নয়, দেশের কথা ভাবার পরামর্শ দিয়ে ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, ‘সাকিব একটা মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা মানুষ। তার ক্রিকেটের মেধা নিয়ে প্রশংসা করি। কিন্তু একটা মানুষ যদি দেশের না হয়, তবে কিভাবে হবে? ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়।
আল্লাহ কি তাকে ক্রিকেট জ্ঞান দিয়েছে, বিবেক বলে কিছু দেয়নি? সাকিব আল হাসানরা যদি ঠিক না হয়, সাকিবকে ফলো করে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা, ফুটবলাররা। এরা কি শিখছে তার কাছ থেকে?
আমার তার প্রতি কোনো বক্তব্য দেওয়ার নেই। আমি শুধু ঘৃণা প্রকাশ করেছি এমন মানুষের প্রতি। টাকা তো আল্লাহ তাকে কম দেয়নি। অনেক ইনকাম করেছে। এত বড় সেলেব্রেটি হয়ে দেশের নাম ব্যবহার করে, এখন দেশের বারোটা বাজাতে চাও? দেশটা বাঁচাবে কে? তুমি তো আমেরিকা চলে যাবা। যারা এখানে থাকবে, তাদের কী হবে?’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।