আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরে গত মে মাসে সামরিক স্থাপনায় হামলার ঘটনায় কারাবন্দী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির আরও ১০৫ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পুলিশ।
রবিবার (১২ নভেম্বর) দেশটির পুলিশের বরাত এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।
লাহোর পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার শহরের বিভিন্ন অংশে লাহোর কর্পস কমান্ডার হাউস এবং আসকারি টাওয়ারে (প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার ছেলের মালিকানাধীন) হামলার জন্য আমরা রোববার ১০৫ জন পিটিআই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছি। প্রায় ১ হাজার পিটিআই কর্মীর বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন শুরু করা হয়েছে যারা ৯ মে হামলার সঙ্গে জড়িত এবং এখনও গ্রেপ্তার হয়নি, পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রাঙ্গণ থেকে আধা-সামরিক রেঞ্জার্স বাহিনী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করার পর সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। তার দলের কর্মীরা জিন্নাহ হাউস (লাহোর কর্পস কমান্ডার হাউস), মিয়ানওয়ালি বিমানঘাঁটি এবং ফয়সালাবাদের আইএসআই ভবনসহ এক ডজন সামরিক স্থাপনা ভাংচুর করে। রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা সদর দপ্তরেও (জিএইচকিউ) প্রথমবার জনতা আক্রমণ করেছিল।
বুধবার পুলিশ লাহোরে খানের দলের ৬২ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এ পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার ঘোষণার পর পাকিস্তানজুড়ে পিটিআই নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ জোরদার করা হয়েছে।
পিটিআইয়ের মতে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পর সামরিক ও রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলার অভিযোগে মে মাসের শুরু থেকে দলের ১০ হাজার নেতা ও কর্মী কারাগারে রয়েছেন।
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরেও পিটিআই কর্মী ও নেতাদের বিরুদ্ধে রাজ্যের জবরদস্তিমূলক কৌশল এবং প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছে দলের মূল কমিটি।
পিটিআই জানিয়েছে, আমরা নির্বাচনের আগে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের অবৈধ ফ্যাসিবাদী পদক্ষেপের নিন্দা জানাই। এমন অসম নির্বাচনী মাঠে এবং রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপে কারচুপির নির্বাচন জাতি মেনে নেবে না। ভোটের তারিখ ঠিক করার পর, পিটিআইকে নির্বাচনী ময়দান থেকে জোর করে বের করে দেওয়ার এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থেকে বঞ্চিত করার নিন্দনীয় প্রচেষ্টা বিশ্বের সামনে আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
উল্লেখ্য, সাইফার মামলায় ইমরান খানকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে আটক রাখা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।