লাইফস্টাইল ডেস্ক : মহিলাদের চেঞ্জিং রুমেই বসানো ছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। পোশাক বদলানো রেকর্ড করা হচ্ছিল লুকিয়ে লুকিয়ে। সেই ক্যামেরার ফুটেজ কার হাতে রয়েছে, তা খুঁজতে গিয়েই উঠে আসল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গঙ্গা স্নান সেরেই মন্দিরে ঢোকার নিয়ম। সকল পুণ্যার্থীই এই নিয়ম মেনে চলেন। মহিলাদের সুবিধার জন্য গঙ্গার পাড়েই তৈরি করা হয়েছিল চেঞ্জিং রুম। কিন্তু সেই রুমেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড। পোশাক বদলাতে গিয়েই এক মহিলার নজরে এল, ছাদ থেকে টিমটিম করে একটা লাল আলো দেখা যাচ্ছে। কীসের আলো এটা, হাত বাড়িয়ে ছুঁতেই বেরিয়ে এল ভয়ঙ্কর জিনিস। টান মারতেই হাতে এল তার, আর একটা ছোট্ট ক্যামেরা।
মহিলাদের চেঞ্জিং রুমেই বসানো ছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। পোশাক বদলানো রেকর্ড করা হচ্ছিল লুকিয়ে লুকিয়ে। সেই ক্যামেরার ফুটেজ কার হাতে রয়েছে, তা খুঁজতে গিয়েই উঠে আসল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। পাওয়া গেল মন্দিরের এক সাধুর মোবাইলের সঙ্গে লিঙ্ক করা ছিল ওই সিসিটিভির। সাধু তাঁর মোবাইলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখত।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে। মুরাদনগরে গঙ্গার পাশেই এক মন্দিরে পুজো দিতে আসেন পুণ্য়ার্থীরা। গঙ্গা স্নান করে মন্দিরে ঢোকার রীতি, তাই নদীর পাড়েই ছিল মহিলাদের চেঞ্জিং রুম। সেখানেই বসানো ছিল সিসিটিভি ফুটেজ।
সম্প্রতিই এক মহিলা ও তাঁর মেয়ে পোশাক বদল করতে গিয়েই সিসিটিভি দেখতে পান। এরপরই চিৎকার-চেঁচামেচি করে সকলকে সতর্ক করেন তারা। পুলিশে এফআইআর দায়ের করা হয়। পুলিশ এসে তদন্ত করে জানতে পারে, মুকেশ গোস্বামী নামক এক সাধুই সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছিলেন। তার মোবাইলে মহিলাদের পোশাক বদলের ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই সাধুর বিরুদ্ধে আগেও চারটি মামলা রয়েছে। বর্তমানে পলাতক ওই সাধু। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।