আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মহাকাশে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে Satellite ধ্বংস করলো রাশিয়া। এই ঘটনায় ক্ষুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলছে রাশিয়ার অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইল নিক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে অবস্থানরত ক্রুদের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে। খবর বিবিসির।
রাশিয়ার অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইলের পরীক্ষাকে ‘বিপজ্জনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ রাশিয়ার নিজস্ব একটি Satellite উড়িয়ে দিয়েছে এবং সেখান থেকে তৈরি বর্জ্যের কারণে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের ক্রুরা স্টেশনের ভেতরে ক্যাপসুলে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছে।
ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪২০ কিলোমিটার উপরে আন্তর্জাতিক মহাকাশকাশ স্টেশন পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘আজ আরো আগে, রাশিয়া তাদের একটি Satellite লক্ষ্য করে বেপরোয়াভাবে পরীক্ষামূলক মিসাইল ছুঁড়েছে।’
‘রাশিয়ার মিসাইল টেস্টের কারণে কক্ষপথে ১৫০০ টুকরো বর্জ্য তৈরি করেছে যেগুলো দেখা যায়। এছাড়া আরো হাজার-হাজার ক্ষুদ্র বর্জ্য তৈরি করেছে যার কারণে মহাকাশে সব দেশের স্বার্থকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।’ বলছিলেন নেড প্রাইস। রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র রাসকোসমস্ এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
সংস্থাটি টুইট করে বলছে, রাশিয়ার Satellite ধ্বংস হবার পর যেসব টুকরো বর্জ্য তৈরি হয়েছে সেগুলো দ্বারা অন্য কিছুর ক্ষতি হয়নি। তবে যে জায়গাটিতে এটি ঘটানো হয়েছে সেটি এখনো দেখা যাচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে, মিসাইলের আঘাতে রাশিয়ার কসমস – ১৪০৮ স্যাটেলাইট ভেঙ্গে গেছে। এটি ১৯৮২ সালে গুপ্তচর স্যাটেলাইট হিসেবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এটির ওজন এক টনের মতো এবং অনেক আগেই স্যাটেলাইটটি অকেজো হয়ে যায়।
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে Satellite ধ্বংস করার ক্ষমতা বেশ কিছু দেশের রয়েছে। এর মধ্যে আমেরিকা, রাশিয়া, চীন এবং ভারত অন্যতম। কিন্তু এ ধরনের মিসাইল ছোঁড়া করা খুবই বিরল। কারণ এ ধরণের কর্মকাণ্ডে মহাকাশে মারাত্মক দূষণ হয়। ২০০৭ সালে চীন যখন তাদের একটি অকেজো আবহাওয়া স্যাটেলাইট ধ্বংস করেছিল, তখন দুই হাজারের বেশি দৃশ্যমান টুকরো হয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।