জুমবাংলা ডেস্ক : বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের কারণে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার দুধের চাহিদা কমে গেছে। যান চলাচল বন্ধ থাকায় মিষ্টিজাত দ্রব্য বাইরে পাঠানো যাচ্ছে না। মিষ্টিজাত পণ্য উৎপাদনকারী কারখানা মালিকরাও দুধ নেওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। এতে বাজারে দুধের দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ৬৬ টাকা লিটারের দুধ ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বুধবার শেরপুর শহরের রেজিস্ট্রি অফিস ও পৌর শিশু পার্কে গড়ে ওঠা দুধের বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শেরপুর উপজেলার শতবর্ষী বাজারে প্রতিদিন চারশ’ মণের বেশি দুধ বিক্রি হয়। শেরপুর, ধুনট, নন্দীগ্রাম পাশ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার, শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়া থেকেও খামারি দুধ বিক্রি করতে আসেন।
অবরোধের কারণে খামারির দুধ সরবরাহ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, এ উপজেলায় ছোট-বড় তিন শতাধিক দুই মিষ্টির কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ২৫-৩০টি কারখানায় প্রচুর পরিমাণে দই তৈরি করা হয়। সেগুলো রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়।
কিন্তু অবরোধের কারণে গত দুইদিন ধরে দুধের বাজার পড়ে গেছে। দুধের লিটার ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে নেমে এসেছে।
আব্দুল মান্নান, দুদু মিয়া, আব্দুল লতিফসহ একাধিক দুধ বিক্রেতা জানান, ‘অবরোধের কারণে দই ও মিষ্টির ব্যবসায়ীরা উৎপাদন অনেক কমিয়ে দিয়েছেন। আগের মত আর দুধ কিনছেন না তারা। গত সোমবার প্রতি কেজি দুধ ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি করেছেন তারা।
কিন্তু মঙ্গলবার দুধের দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। আজ বুধবার দুধের দাম নেমে আসে ২৫-৩০ টাকায়।
খামারি আলমগীর হোসেন স্বপন বলেন, ‘বাজারে সব পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে পশু খাদ্যের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতে দুধের বাজারে ধস। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। এখন টিকে থাকাই দায়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।