লাইফস্টাইল ডেস্ক : রাস্তায় দৌড়ঝাঁপ করতে গিয়ে শিশুরাই কুকুর-বিড়ালের কামড়ের শিকার হয় বেশি। কুকুর-বিড়াল দেখলেই শিশুরা তাদের সঙ্গে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করে। তাই আপনি ধারেকাছে থাকলেও কুকুর কিংবা অন্যান্য পশুর আক্রমণের শিকার হতে পারে। জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত কুকুর, বিড়াল বা অন্য পশুর কামড় বা আঁচড়ে জলাতঙ্ক হতে পারে।
তবে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। সব পশুর কামড়ে জলাতঙ্ক হয় না। কিন্তু পরিস্থিতি বুঝে প্রতিষেধক নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা একবার জলাতঙ্ক হলে মৃত্যু থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই। সচরাচর কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক ছড়ায় বেশি। এক্ষেত্রে আপনার করণীয় কি?
প্রথমে রোগের লক্ষণ শনাক্ত করতে হবে
জলাতঙ্কের ভাইরাস শরীরে প্রবেশের তিন মাস পর লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। কিন্তু কামড় কিংবা আঁচড়ে বড় ক্ষত হলে পাঁচ দিনেই সব উপসর্গ প্রকাশ পেতে শুরু করে। জলাতঙ্কের দুটো লক্ষণ আছে –
প্রথমদিকে শিশুর জ্বর, গলাব্যথা, বমি ও শিরঃপীড়া হবে। কামড় কিংবা আঁচড়ের জায়গা ঘন ঘন চুলকায়। এক সময় শিশুর আচরণেও বেশ পরিবর্তন আসতে শুরু করে। পানি খাওয়া ও শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। একে ভয়ংকর এনকেফালাইটিস ধরন বলা হয়।
দ্বিতীয়টিকে প্যারালাইটিক র্যাবিস বলা হয়। এ ধরনের জলাতঙ্কে প্রথমে জ্বর হয়। পরে শিশুর হাত পা অবশ হয়ে বাকি লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে।
তাহলে চিকিৎসা পদ্ধতি কি?
* আপনার শিশুকে কোনো পশু আঁচড়ে কিংবা কামড়ে দিলে দ্রুত ক্ষতস্থান জীবাণুনাশক সাবান দিয়ে কমপক্ষে ১৫ মিনিট ধুতে হবে।
* শিশুকে যেখানে কামড়ে দিয়েছে সে জায়গা ভালোমতো ধুয়ে ৭০% ইথানল, পভিডিন-আয়োডিন, আয়োডিন বা অন্যান্য অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপরও গাফিলতি না করে শিশুকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
* বাড়ি কিংবা পাড়ার পোষ্য কুকুর হলে তাকে কোথাও বেঁধে দশদিন পর্যবেক্ষণ করুন। এই ১০ দিন কুকুরের আচরণ স্বাভাবিক থাকলে ভয়ের কারণ নেই।
* নিয়ম মেনে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক দিতে হবে। দেশে এখন বেশ কয়েকটি উন্নত মানের টিকা আছে।
* পোষা প্রাণী বা পশুকেও জলাতঙ্ক প্রতিষেধক দিতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।