লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীত মানেই ঠোঁট ফেটে যাওয়ার বিড়ম্বনা। আমাদের শরীরের এই অংশের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়। ফলে শীতের রুক্ষতায় খুব দ্রুত আক্রান্ত হয় ঠোঁট। শীতেও ঠোঁট নরম ও কোমল রাখতে চাইলে কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি।
ঠোঁট ফেটে যাওয়ার অন্যতম কারণ পানিশূন্যতা। তাই বেশি করে খান পানিজাতীয় ফল ও সবজি। শসা, কমলা বা স্ট্রবেরির মতো খাবারে পানির পরিমাণ অনেক। খাদ্যতালিকায় এগুলো রাখলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে এবং ঠোঁট শুষ্ক হয় না। এছাড়া এসব খাবারে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের পুনর্জন্মে সহায়তা করে এবং ফাটা ঠোঁট নিরাময় করে।
ঠোঁট শুষ্ক হয়ে গেলে অনেকেই জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজান। এটা করতে যাবেন না। এতে ঠোঁট আরও বেশি শুষ্ক হয়ে পড়বে।
ক্যাস্টর অয়েল বা নারকেল তেল আঙুলের সাহায্যে ঠোঁটে লাগান। ঠোঁট নরম ও মসৃণ থাকবে।
ময়শ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত নারকেল তেল। শুষ্ক ঠোঁটে লাগানোর পাশাপাশি ডায়েটে নারকেল তেল অন্তর্ভুক্ত করলে অভ্যন্তরীণ হাইড্রেশন নিয়ে ভাবতে হবে না।
ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করা ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করতে সাহায্য করে ও মসৃণ করে ঠোঁট। মধু এবং চিনির মিশ্রণ ব্যবহার করে একটি স্ক্রাব তৈরি করে নিন। বৃত্তাকার গতিতে ঠোঁটে স্ক্রাবটি আলতোভাবে ঘষুন, তারপরে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
স্যামন মাছ এবং ফ্ল্যাক্সসিডের মতো ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খান। ঠোঁটের হাইড্রেশন ধরে রাখে এসব খাবার।
অল্প দুধে গোলাপের পাপড়ি ভিজিয়ে বেটে নিন ঠোঁটে লাগাতে পারেন। তবে ফাটা ঠোঁটে দেবেন না।
ঠোঁট ফাটা রোধ করতে অ্যালোভেরা জেল ম্যাসাজ করতে পারেন ঠোঁটে।
মধুর প্রাকৃতিক হিউমেক্ট্যান্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার অর্থ এটি আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। ঠোঁটে নিয়মতি মধু লাগাতে পারেন। পাশাপাশি পরিমিত পরিমাণে খেলে ঠোঁট ও ত্বক ভালো থাকে।
ব্যবহৃত গ্রিন টি ব্যাগ ১ টেবিল চামচ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। টি ব্যাগ উঠিয়ে ঠোঁটে চেপে নিন বারকয়েক। দূর হবে ঠোঁটের রুক্ষতা।
ভিটামিন-ই ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাদাম, সূর্যমুখী বীজ, পালং শাক এবং ব্রকলির মতো খাবারে পাওয়া যায় এই ভিটামিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।