স্পোর্টস ডেস্ক : হায়দ্রাবাদের অটোচালক তার বাবা। বাবার স্বপ্ন ছেলে একদিন দেশের হয়ে ওই চির চেনা নীল জার্সি গায়ে খেলবে। কিন্তু, ক্রিকেটতো রাজকীয় খেলা। এই খেলার সরঞ্জাম কিনতে অনেক খরচ হয়। আর যাদের নূন আনতে গেলেই পান্তা ফুরিয়ে যায় তাদের জন্যতো আরও কঠিন ব্যাপার। গরীবের কাছে এই খেলার সরঞ্জাম কেনা মানে বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। ছেলেকে নতুন জুতো কিনে দেওয়ার জন্য সারা রাত অটো চালিয়ে টাকা জোগাড় করেছিলেন সিরাজের বাবা মোহাম্মদ ঘাউস।
সিরাজ যখন ফাস্ট বোলার হিসেবে ভারতীয় দলে সুযোগ পান তখন তার প্রথম বিদেশ সফরের সময়ই বাবার মৃত্যু হয়। জাতীয় দলে ছেলের সুযোগ পাওয়ার খবর শুনলেও খেলতে দেখে যেতে পারেননি। তাইতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল জেতার পর বাবার কথা মনে পড়ছে মোহাম্মদ সিরাজের।
১৫ নভেম্বর প্রথম সেমির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেছেন সিরাজ। দেখা যাচ্ছে একটি মোবাইলের স্ক্রিনে লেখা রয়েছে ‘ড্যাড কলিং’। সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘তোমার অভাব অনুভব করছি’। দিয়েছেন কান্নার ইমোজিও। সিরাজের পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ভারত বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পর প্রয়াত বাবার কথা মনে পড়ছে সিরাজের। ছেলেকে দেশের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হিসাবে দেখলে নিশ্চয় গর্ব অনুভব করতেন বাবা ঘাউস। ছেলেকেতো তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ২২ গজে সফল হিসেবেই দেখতে চেয়েছিলেন।
গত সেপ্টেম্বরের এশিয়া কাপে বেশ ভাল ফর্মে ছিলেন সিরাজ। বিশ্বকাপে সেই ফর্ম ধরে রাখতে পারেননি। প্রায় প্রতি ম্যাচেই প্রচুর রান দিয়ে ফেলছেন। ছন্দ পেয়ে গেলে সিরাজ অবশ্য একাই প্রতিপক্ষের ইনিংসে ধস নামাতে পারেন। সেই আশায় তাঁকে খেলিয়ে চলেছেন রাহুল দ্রাবিড়, রোহিত শর্মারা। সেমিফাইনালের পর আবেগপ্রবণ হয়ে পড়া সিরাজও নিশ্চয়ই ফাইনালে বল হাতে জ্বলে উঠতে চাইবেন। দলকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে হয়তো বাবাকেই উৎসর্গ করবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।