এরকম হওয়াটা অস্বাভাবিক নয় যে অনেকক্ষণ ঘুমিয়ে থাকার পর ক্লান্তিভাব থাকে। ঘুমের মধ্যে দম আটকে যাবার ঘটনা ঘটে। এটিকে Sleep Apnea বলে। তবে আপনার উচিত হবে একজন বক্ষবেদী চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। তবে আপনি যদি চিকিৎসা না করেন তবে পরবর্তী সময়ে গুরুতর সমস্যা হতে পারে।
এসব কারণে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে। তাই সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাওয়া অথবা গাড়ি চালানোর সময় দুর্ঘটনা ঘটার মত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। রোগ সনাক্তের সাথে সাথে ব্যবস্থা নিলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ঘুমের মধ্যে শ্বাসনালী কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে করে কিছু সময়ের জন্য বডি অক্সিজেন পায় না। এর ফলে দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক বা উচ্চ রক্তচাপের মত ঘটনা ঘটতে পারে।
যাদের স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা রয়েছে তাদের গাড়ি দুর্ঘটনা সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাদের চাকুরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার হার বেশি। আপনি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়বেন এবং কারো সাথে কথা বলতে ভালো লাগবে না। মাথা ব্যথার সমস্যা থাকতে পারে।
স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা যায়। প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত করা সম্ভব হলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। দীর্ঘদিন সুরাহা করা না হলে পরিস্থিতির জটিল আকার ধারণ করবে। শরীরের জরুরি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
গলার টনসিল বা নাকের হাড় বেশি বড় হয়ে গেলে তা অপারেশন করতে হয়। চোয়াল ঠিক রাখতে দাঁতের চারপাশে এক ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। এটি শ্বাসনালী খোলা রাখতে সহায়তা করে। জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করা। সুষম খাবার খাওয়া। ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা। ধূমপান ও মদপান থেকে বিরত থাকা। এ সমস্ত বিষয় খেয়াল রাখলে রোগটি মোকাবেলা করা আগের তুলনায় সহজ হয়ে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।