লাইফস্টাইল ডেস্ক: স্মার্টফোনে আসক্তি আর এর অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ে অনেক গবেষণাই হয়েছে। এবার আরকেটি গবেষণায় ফলাফল জানার পালা। আমেরিকার বেইলর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, যে মানুষগুলো সব সময় মোবাইলের সঙ্গ আঠার মতো লেগে থাকেন, তারা অন্যদের চেয়ে বেশি বিষণ্নতায় ভোগেন। তাদের মাঝে মানসিক চাপও তুলনামূলক বেশি।
এই গবেষণায় বিশেষ যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা হলো, কোনো কাজে বা সমাজে নিজেদের গ্রহণযোগ্য পেতে তারা সোশাল মিডিয়ার ওপর নির্ভর করে।
বিশেষজ্ঞরা মোবাইলের প্রতি আসক্তি, সোশাল মিডিয়ার প্রতি আকর্ষণ, বিষণ্নতা আর মানসিক চাপের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে দেখার চেষ্টা করেছেন।
গবেষক প্রফেসর মেরেদিথ ডেভিড বলেন, কেউ যখন স্মার্টফোনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করেন। তখন তিনি নিজেকে সমাজের কেউ একজন বলে মনে হতে থাকে তার। তিনি আরো বেশি সমাজের সঙ্গে জুড়ে যেতে চান। সোশাল মিডিয়ায় থাকার মাধ্যমে তারা অন্য সবার সঙ্গেই সময় কাটাচ্ছেন বলে মনে করেন।
জার্নাল অব দ্য অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজ্যুমার রিসার্চে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়, মোবাইলে পড়ে থাকে যারা তারা উচ্চমাত্রার বিষণ্নতা ও মানসিক চাপে আক্রান্ত হয়।
আরেক প্রফেসর জেমস এ রবার্টস বলেন, তারা ভাবেন, মোবাইলে যতক্ষণ আছেন ততক্ষণই যেন সবার মাঝে আছেন। অফলাইন হওয়া মানেই বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপে চলে যাওয়া।
দুই দফা গবেষণায় ৩৩০ জন মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়।
গবেষকদের মতে, যে প্রযুক্তি মানুষকে আরো কাছে আনার জন্য উৎকর্ষতার দিকে এগিয়েছে তা আমাদের পরস্পরের থেকে আরো দূরে সরিয়ে দিয়েছে। কাজেই এখন কী করা? বাড়িতে, অফিসে বা বাইরে মোবাইল-ফ্রি জোন তৈরি করতে হবে। আর তা পালনে সবাইকে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।