লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমাদের বর্তমান দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ স্মার্টফোন। তথ্যপ্রযুক্তির এই সময় স্মার্টফোন ছাড়া আমাদের এক দিনও চলে না। এমনকি স্মার্টফোন কাছে না থাকার যে অপূর্ণতা তার আলাদা একটি নামও আছে, নোমোফোবিয়া।
আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যেও স্মার্টফোন একটি বড় ঝুঁকি। এর মাধ্যমে অতিনির্ভরশীলতা মানসিকভাবে দুর্বল করে দেয়। তাই স্মার্টফোন আসক্তি থেকে মুক্তির কোনো বিকল্প নেই। এ বিষয়ে কয়েকটি উপায়ের কথা বলা হয়েছে-
ব্যবহারের সময় কমান
স্মার্টফোন ব্যবহার কমান। দিনে কতবার স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন, তা নির্ধারণ করুন। প্রথমে সিদ্ধান্ত নিন দিনে ২০ বারের বেশি স্মার্টফোন দেখবেন না। এ ছাড়া খাওয়া ও লোকজনের সঙ্গে কথা বলার সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন না।
বন্ধ করুন সোশ্যাল সাইট
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ সরিয়ে ফেলুন। স্মার্টফোনে ফেসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপগুলো দরকারি। পারলে এ দুটি অ্যাপ সরিয়ে ফেলুন। স্মার্টফোনে আরও অনেক অ্যাপ আছে, যেগুলো সময় নষ্ট করে। এ ধরনের অ্যাপ সরালে সময় বাঁচবে এবং ফোনের স্টোরেজ ও চার্জ কম ফুরাবে।
নোটিফিকেশন কমান
স্মার্টফোনের নোটিফিকেশন কাস্টমাইজ করুন। নোটিফিকেশন যত কম আসবে, স্মার্টফোন দেখার হার তত কমবে।
ঘুমানোর আগে ফোন বন্ধ করুন
ঘুমানোর আগে ফোন বন্ধ করা বিষয়টি অনেকে জানলেও বাস্তবে তা করেন না। ঘুমানোর সময় ফোন বন্ধ করলে তেমন কোনো ক্ষতি নেই ভেবে ফোন বন্ধ করে দিন। অভ্যস্ত হয়ে গেলে ঘুম ভালো হবে।
অ্যাপের সাহায্য নিন
গুগলের প্লে স্টোরে স্মার্টফোনের ব্যবহার কমাতে পারে এমন অনেক অ্যাপ পাবেন। অ্যাপ ডেটক্স ও রেসকিউ টাইমস এমন দুটি অ্যাপ। অ্যাপ ডাউনলোড করে প্রয়োজন মতো স্মার্টফোনের ব্যবহারে সময় ঠিক করে নিন।
হাতঘড়ি ব্যবহার করুন
স্মার্টফোনের কারণে হাতঘড়ির ব্যবহার প্রায় কমে গেছে। সময় দেখতে মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করছে। একবার স্মার্টফোনে গেলে নোটিফিকেশন, ফেসবুক, টুইটারে ঢুকে পড়ছে। স্মার্টফোনে অ্যালার্মের পরিবর্তে অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করুন। আসক্তি কাটাতে পুরোনো দিনের প্রযুক্তিতে ফিরে যান।
জুমার দিন হলো আল্লাহর প্রিয়তম দিন, যা অসংখ্য ফজিলত ও বরকতে পূর্ণ
ফিচার ফোন ব্যবহার করুন
স্মার্টফোনের আসক্তি যদি মারাত্মক আকার ধারণ করে, তবে স্মার্টফোন বাদ দিয়ে ফিচার ফোন ব্যবহার শুরু করুন। টানা এক সপ্তাহ ফিচার ফোন ব্যবহার করে আবার স্মার্টফোনে ফিরতে পারেন। এতে আসক্তি কিছুটা কমবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।