জুমবাংলা ডেস্ক : পবিত্র রমজান মাসে খতমে তারাবি পড়ার ব্যাপারে দেশের সকল মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
আজ শুক্রবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে দেশের প্রায় সকল মসজিদে খতমে তারাবি নামাজে পবিত্র কুরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনো কোনো মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।
এতে করে বিভিন্নস্থানে যাতায়াতকারী কর্মজীবী ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে পবিত্র কুরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এর পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। পবিত্র কুরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন।
এ পরিস্থিতি নিরসনকল্পে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে ১ পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৭ রমজান রাতে অর্থাৎ পবিত্র শবে কদরে পবিত্র কুরআন খতম করা সম্ভব হবে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে, দেশের সকল মসজিদে, খতমে তারাবি নামাজে প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ও পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র শবে কদরে পবিত্র কুরআন খতমের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সারা দেশের সকল মসজিদের খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আগামী সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে ও মুসলমানরা রোজা রাখা শুরু করবেন। সেক্ষেত্রে সোমবার রাতেই এশার নামাজের পর ২০ রাকাত বিশিষ্ট তারাবিহ নামাজ পড়া শুরু হবে, রোজা রাখতে শেষ রাতে প্রথম সেহরিও খাবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
অন্যদিকে সোমবার চাঁদ দেখা না গেলে মঙ্গলবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে, রমজান মাস গণনা শুরু হবে বুধবার (১৩ মার্চ)। এক্ষেত্রে মঙ্গলবার এশার নামাজের পর তারাবি নামাজ পড়া শুরু হবে ও শেষ রাতে খেতে হবে সেহরি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।