আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্ক এবার বিশ্বের মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে তাদের তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধক্ষম ড্রোন কিজিলেলমা (Kizilelma) দিয়ে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত এই চালকবিহীন আকাশযানটি দেখতে যেমন ফাইটার জেটের মতো, তেমনি কার্যক্ষমতাও প্রায় যুদ্ধবিমানের সমতুল্য। বিশেষ করে এর গতি শব্দের গতিকেও ছাড়িয়ে গেছে, যা বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা খাতে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।
Table of Contents
তুরস্কের খ্যাতনামা ড্রোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বায়কার টেকনোলোজিস (Baykar Technologies) এই কিজিলেলমা ড্রোনটি তৈরি করেছে। এর আগেও টিবি-২ (TB2) ও আকিনজি (Akinci) ড্রোন নির্মাণ করে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এবার তাদের তৈরি এই নতুন ড্রোনটি চতুর্থ প্রোটোটাইপ পরীক্ষায় সফলতা অর্জন করেছে।
কিজিলেলমা ড্রোনের বৈশিষ্ট্য
- ধরন: পঞ্চম প্রজন্মের চালকবিহীন যুদ্ধযান (Unmanned Combat Aerial Vehicle)
- ইঞ্জিন: ইউক্রেনীয় নির্মিত AI-322F টার্বো জেট ইঞ্জিন
- গতি: শব্দের চেয়ে বেশি
- পে-লোড ক্যাপাসিটি: ১.৫ টন
- দৈর্ঘ্য: প্রায় ১৪.৫ ফুট
- সর্বোচ্চ উচ্চতা: ৪৫,০০০ ফুট
- অভিযান সময়কাল: ৩ ঘণ্টার বেশি
- অস্ত্রসজ্জা: লেজার গাইডেড বোমা, দীর্ঘপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র
যুদ্ধক্ষেত্রে কিজিলেলমার ব্যবহার
কিজিলেলমা শুধু উচ্চ প্রযুক্তির ড্রোনই নয়, এটি ভবিষ্যতের যুদ্ধের কৌশলকেও বদলে দিতে পারে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি অনুযায়ী, এই ড্রোনটি সীমান্তবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন কৌশলগত অঞ্চলে মোতায়েন করা হবে। এটি মূলত কমব্যাট মিশনের জন্য তৈরি, যেখানে সাধারণ ড্রোনের চেয়ে অনেক বেশি সক্ষমতা রয়েছে।
বিশ্বের কাছে তুরস্কের ড্রোন শক্তি
তুরস্ক বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ড্রোন নির্মাতা দেশ হিসেবে বিবেচিত। তাদের তৈরি ড্রোন এখন ৩৫টিরও বেশি দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিজিলেলমা সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতাতেই যুক্ত হয়েছে, যার মাধ্যমে তুরস্ক আবারও প্রমাণ করেছে যে তারা প্রযুক্তিগত দিক থেকে আত্মনির্ভর এবং আধুনিক প্রতিরক্ষা খাতে অগ্রণী।
কিজিলেলমার বর্তমান সংস্করণ
বর্তমানে কিজিলেলমা ড্রোনের তিনটি সংস্করণ রয়েছে। এর কিছু সংস্করণ শব্দের চেয়েও দ্রুত চলতে পারে, আবার কিছু তুলনামূলক কম গতিতে কার্যক্রম পরিচালনায় সক্ষম। প্রতিটি মডেলই নির্দিষ্ট মিশনের চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।