লাইফস্টাইল ডেস্ক : বাজারে সাধারণত তিন রঙের আঙুর পাওয়া যায়। সবুজ, লাল আর কালো। আঙুর স্বাদে মিষ্টি, সঙ্গে হালকা টক একটা ভাব থাকে। কিছু আঙুরের স্বাদ মিষ্টির সঙ্গে একটু কষাটে ভাবেও থাকে। আঙুর ভিটামিন সি, ভিটামিন কে ও পটাশিয়ামের ভালো উৎস। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট বলে ত্বক ভালো রাখে। রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। আঙুরে থাকা ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধা ও হাড়ের সুরক্ষায় সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে ও হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে।
সবুজ, লাল আর কালো আঙুরের মধ্যে কোনটিতে বেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম আজতকে জানানো হয়েছে সেই পুষ্টিগুণের কথা। যেমন-
লাল আঙুর: স্বাদে মিষ্টি, সঙ্গে হালকা টক ভাব আছে লাল আঙুরে। জ্যাম, জেলি বানাতে এই আঙুর ব্যবহৃত হয়। ক্যালরি, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ প্রায় সবুজ আঙুরের সমান। কেবল প্রোটিনের পরিমাণ একটু কম। এক কাপে গড়ে ১.১ গ্রাম প্রোটিন থাকে। ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে–এর ভালো উৎস লাল আঙুর। পাশাপাশি এতে রেসভেরাট্রল নামে এক ধরনের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে। এই উপাদান প্রদাহ কমায়, হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে, এমনকি বেশ কিছু ক্যানসারও দূরে রাখে।
কালো আঙুর: সব আঙুরের তুলনায় কালো আঙুরে পুষ্টিগুণ একটু বেশি। গাঢ় রঙের এই আঙুর বেশ মিষ্টি আর রসালো। ক্যালরি, প্রোটিন, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ লাল আঙুরের সমানই। একই রকম ভাবে এই আঙুর ভিটামিন সি, ভিটামিন কে ও রেসভেরাট্রল সরবরাহ করে। এমনি খাওয়ার পাশাপাশি এই আঙুর সালাদসহ বিভিন্ন ডেজার্টে ব্যবহৃত হয়।
পাকিস্তানি মেয়ের উদ্দাম ড্যান্সে ঝড় উঠলো নেট দুনিয়ায়, ভাইরাল ভিডিও
পুষ্টিগুণে কোনটি এগিয়ে?
সবুজ, কালো, লাল—তিন রঙের আঙুরই খাদ্য উপাদানে প্রায় সমানে সমান। তিনটিতেই ক্যালরি, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ সমান। প্রোটিনের পরিমাণে সবুজ আঙুরে একটু বেশি। তবে উপকারিতার দিক দিয়েএকটু পিছিয়ে এই আঙুর। কারণ, তিন আঙুরই ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে-এর জোগান দেয়। কিন্তু কালো ও লাল আঙুরে এর বাইরেও তিন ধরনের পলিফেনলস, ফেনোলিক অ্যাসিড, ফ্লেভানয়েড ও রেসভেরাট্রল রয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ করে রেসভেরাট্রল শরীরের জন্য বেশ উপকারী। পুষ্টিগুণে লাল ও কালো আঙুরকে সবুজের তুলনায় খানিকটা এগিয়েই রাখতে হয়। তবে যেকোনও আঙুর খাওয়াই শরীরের জন্য উপকারী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।