লাইফস্টাইল ডেস্ক : সফলতার পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রভাবক হলো মনোভাব। আপনার মনোভাব নির্ধারণ করে আপনার সফলতার সীমানা। অর্থাৎ আমাদের চিন্তা-ভাবনা এবং দৃষ্টিভঙ্গিই আমাদের ভবিষ্যতকে গড়ে তোলে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন একজন শিক্ষার্থীর জন্য ইতিবাচক মনোভাব চর্চা করা খুব জরুরি।
কী এই ইতিবাচক মনোভাবইতিবাচক মনোভাব হলো জীবনের প্রতি একটি আশাবাদী ও সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি। যা ব্যক্তিকে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সুযোগ ও সম্ভাবনা দেখতে সাহায্য করে।
এটি সমস্যার পরিবর্তে সমাধানের দিকে এবং ব্যর্থতার পরিবর্তে সাফল্যের দিকে মনোনিবেশ করে। ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্তিকে আত্মবিশ্বাসী, সহনশীল ও উদ্যমী করে তোলে। যা ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে সাফল্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
কেন প্রয়োজন ইতিবাচক মনোভাব
প্রথমত, ইতিবাচক মনোভাব আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। যখন আপনি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন এবং নিজেকে ইতিবাচকভাবে মাইন্ডফুল রাখেন; তখন আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে ওঠেন। আপনি যদি নিজের সক্ষমতায় বিশ্বাস করেন, তবেই আপনি যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে তৈরি থাকবেন।
দ্বিতীয়ত, ইতিবাচক মনোভাব চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। ভর্তি পরীক্ষার সময় চাপ এবং উদ্বেগ স্বাভাবিক। কিন্তু যদি সমস্যাকে সম্ভবনা হিসেবে দেখেন, তবে সেই চাপ সহজেই অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে। নিজের প্রতি সদয় হয়ে উঠুন এবং নিজেকে উৎসাহিত করুন—‘আমি পারব!’ এ চিন্তা আপনাকে কঠিন পরিস্থিতিতে সাহায্য করবে।
ইতিবাচক মনোভাব কীভাবে অর্জন করবেন
পরিবেশ আপনার মনোভাবের ওপর প্রভাব ফেলে। ইতিবাচক মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান, যারা আপনাকে উৎসাহিত করে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আপনি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পেতে পারেন।
তবে মনে রাখতে হবে—ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এটি রাতারাতি হয় না বরং নিয়মিত অনুশীলন দিয়ে তা অর্জন করা সম্ভব। প্রতিদিন কিছুটা সময় নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ব্যয় করুন।
আত্মবিশ্বাস অর্জনের প্রতি মনোযোগ দিন। সেই সঙ্গে নিজেকে সমানুভূতিশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন।
জীবনের যে কোনো ক্ষেত্রেই এ দৃষ্টিভঙ্গি আপনার জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য শুধু অধ্যয়ন নয়, সেই সঙ্গে চর্চা করুন ইতিবাচক মনোভাব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।