বিনোদন ডেস্ক : শুক্রবার রাতের ঝামেলা, গড়াল শনিবার সকাল পর্যন্ত। নিউটাউনের রেস্তোরাঁয় শ্যুটিং করতে গিয়ে মালিককেই মারধর করার অভিযোগ অভিনেতা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। সেদিনের শ্যুটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। গোটা ঘটনায় তাঁর কী প্রতিক্রিয়া?
শনিবার ভারতের একটি টিভি চ্যানেলের মুখোমুখি হয়ে অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার বলেন, ‘আমি পরে দেখেছি। কারণ যখন নীচে গন্ডগোল হচ্ছিল আমি ছাদে, অর্থাৎ রেস্তোরাঁর যেখানে শ্যুট হচ্ছিল আমি সেই ফ্লোরে ছিলাম। শ্যুটিং ফ্লোরে আমিও এরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি প্রথমবার হয়েছি, ফলে আমিও বেশ স্তম্ভিত!’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনা নিয়ে সত্যিই কিছু বলার নেই। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই জিনিসটা এরকম হয়ে যায়। কিন্তু একটা জিনিস ঠিক, যে আমার সঙ্গে বা আমার সামনে এরকম ঘটনা কখনও ঘটেনি। যে একটা ঝামেলার জন্য শ্যুটিংয়ে ব্যাঘাত, যদি শ্যুটিং আটকায়নি। আমরা সিন শেষ করে বেরিয়ে যাই। কিন্তু হ্যাঁ এরকম ঝামেলা হওয়া ঠিক না।’
ঠিক কী ঘটে? কী অভিযোগ?
নিউটাউনের রেস্তোরাঁ মালিককে মারধর করার ঘটনায় যদিও ক্ষমা চেয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক ও অভিনেতা সোহম। এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে শুক্রবারের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ। সেই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, রেস্তোরাঁ মালিককে মাটিতে ফেলে লাথি ও কলার ধরে চড় মারছেন সোহম। ঘটনায় টেকনো সিটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রেস্তোরাঁর ম্য়ানেজার।
যাঁর রেস্তোরাঁয় শ্যুটিং তাঁকেই পেটানোর অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ, ঘটনার সূত্রপাত রেস্তোরাঁর সামনে গাড়ি পার্কিং নিয়ে গন্ডগোল ঘিরে। তৃণমূল বিধায়ক ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
রেস্তোরাঁর মালিককে পিটিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন তৃণমূল বিধায়ক সোহম। পাশাপাশি এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগকারী রেস্তোরাঁ মালিকের দাবি, শুক্রবার রাতে কোনও অভিযোগ নেই বলে সাদা কাগজে লিখিয়ে নিয়েছিল পুলিশ। যদিও পুলিশ সূত্রে পাল্টা দাবি, তিনিই তখন অভিযোগ নেই বলে জানিয়েছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।