শহর-গ্রামে কয়েক দিন ধরে শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। কোথাও কোথাও কুয়াশা, মৃদু ঠান্ডা অনুভূতি শীতের জানান দিচ্ছে। সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে এবার ৭টি মৃদু (৬ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি ধরনের (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

নভেম্বর, ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসের পূর্বাভাস নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ৪ থেকে ৭টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরণের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আর উত্তরপশ্চিমাঞ্চল, উত্তরপূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে ৩টি শৈত্যপ্রবাহ (৪ থেকে শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস) তীব্র রূপ নিতে পারে।
দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে ৩ মাসের এ পূর্বাভাসে। এতে আরও বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে ২ থেকে ৪টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে ২টি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর, উত্তরপশ্চিমাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি ঘন কুয়াশা এবং অন্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরণের কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসতে পারে। এতে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।
আর শুধু চলতি নভেম্বর মাসের জন্য দেয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে ২ থেকে ৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে ১টি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এই মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা আস্তে আস্তে কমতে শুরু করবে। দেশের কোথাও কোথাও এবং নদী অববাহিকায় ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা বা মাঝারি ধরণের কুয়াশা পড়তে শুরু করবে।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং এর কাছাকাছি মিয়ানমার উপকূলীয় একটি লঘুচাপ বিরাজমান রয়েছে। এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম বরাবর মিয়ানমার-বাংলাদেশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আগামী কয়েক দিন বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



