জুমবাংলা ডেস্ক : মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের টোকাই বলে বক্তব্য দিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও হল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এমএ মোঈদ ফারুক।
বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী মরহুম অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী শিক্ষা ও সেবা ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করলেও উপস্থিত কেউ কোনো প্রতিবাদ না করায় এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
শনিবার (২ নভেম্বর) উপজেলার তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এসময় ওই আওয়ামীলীগ নেতা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীসহ সমন্বয়কদের অভদ্র ও বেয়াদব বলেও মন্তব্য করেন।
সমন্বয়কদের নিয়ে বিরূপ বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে আলোচনার সমালোচনার সৃষ্টি হয়। বক্তব্যের প্রতিবাদ করে অবিলম্বে মোঈদ ফারুককে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন উপজেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মরহুম অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার জহরত আদিব। এ ঘটনার পর তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের এড়িয়ে যান।
কেন স্বাধীন দেশে শিক্ষার্থীরা রাজাকার স্লোগান দিবে এমন মন্তব্য করে এমএ মোঈদ ফারুক বলেন, আজকের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিরাপদ নয়। যদি জানতাম এই দেশ এককালে রাজাকারের দেশ হয়ে যাবে তবে আমি মুক্তিযুদ্ধ না করে রাজাকার হয়ে যেতাম। উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আন্দোলন করা বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের নিয়ে তিনি বলেন, আগে কোন বৈষম্য ছিল না, তোমরাইতো বৈষম্য তৈরি করেছ। এখন এসেছে সমন্বয়ক, এই চ্যাংড়া পাংড়া টোকাই পোলাপান যদি দেশ চালায় তাহলে তোমরা লেখাপড়া করে কি করবে? আমি তোমাদেরকে বলবো যদি তোমরা কোনোদিন ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাও তবে কোন ছাত্র রাজনীতিতে জড়াবে না।
প্রয়োজনে কোন আন্দোলন শুরু হলে তোমরা বাড়িতে চলে আসবে। আজকে ঢাকার মেয়েগুলো কি সভ্য নারী? তোমরা নিজেরাই দেখো। এগুলো সভ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। আমি পশ্চিমা দেশে ৪৫ বৎসর ছিলাম কিন্তু এত অভদ্র ছাত্র ছাত্রী আমার জীবনেও দেখি নাই। আমাদের দেশ এটা ধ্বংসের মুখে চলে যাচ্ছে।
প্রিয়াঙ্কাকে গোপনে বিয়ে করেছিলেন শাহরুখ, এই অভিনেত্রী কি আসলেই ধর্ম বদলেছিলেন
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে এমএ মোঈদ ফারুক ও অনুষ্ঠানের আয়োজক সাবেক প্রতিমন্ত্রী মরহুম অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার জহরত আদিবের মুঠোফোনে বার বার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।