লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রেম-ভালোবাসা শুধু একটু একটু করে কাছে আসা আর রোমান্টিক মুহূর্তে ভেসে যাওয়া নয়। কাছাকাছি থাকলে হয়তো দু’জনার প্রতিদিন বা সপ্তাহে দেখা করা যায়। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন, যাদের ক্যারিয়ার কিংবা পরিবারের কারণে দীর্ঘ দূরত্বে থাকতে হয়। এ অবস্থায় চাইলেই রোজ দেখা করা সম্ভব হয় না। তাহলে কী সম্পর্কে বিচ্ছেদ হবে?
মূলত নানা কারণেই সম্পর্কে বিচ্ছেদ হয়ে থাকে। তবে দু’জনই যদি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চান, তাহলে সেই সম্পর্কে ইতি টানা সহজ নয়। এরপরও সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করা নিয়ে নানা উদ্বেগ কাজ করে অনেকের মধ্যে। এ অবস্থায় সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করার কয়েকটি উপায় তুলে ধরা হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ায়। এবার তাহলে বিষয়টি নিয়ে জেনে নেয়া যাক।
লড়াই করা শেখা: প্রতিটি সম্পর্কেই সঙ্গীদের মত পার্থক্য থাকে। এ অবস্থায় সঙ্গীকে কীভাবে পরিচালনা করবেন, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। যে দম্পতি প্রকৃত অর্থেই সঙ্গীকে ভালোবাসেন, তারা জানেন তর্কে জয়ী হওয়া নয়, বরং শোনা এবং একে অপরের দৃষ্টিকোণকে সম্মান করা ও একসঙ্গে সমাধান খুঁজে বের করাই মূল বিষয়। পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে কিছু সমাধান হলে তখন মতবিরোধ আপনাদের সম্পর্ক আরও গভীর করে।
একে অপরের জন্য সময় বের করা: কর্মব্যস্ত জীবনে সবাই ব্যস্ত সময় কাটায়। এ কারণে জীবন অপ্রতিরাধ্য হতে পারে। অথচ আদর্শ দম্পতিরা সর্বদা সংযুক্ত থাকার উপায় খোঁজেন। সকালে চা-কফি, হঠাৎ রাতের খাবার বা ঘুমানোর আগে একে অপরের জন্য সময় বেরা করার মধ্য দিয়ে নিজেদের মুহূর্তগুলো সুন্দর করে তোলা যায়। ব্যস্ত জীবন থেকে অল্প অল্প সময় বের করার মাধ্যমে কাটানো এই সময়ই সম্পর্কের ভীত মজবুত করে।
বিনোদন খোঁজা: সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করতে নিজেদের মধ্যে বিনোদন খুঁজতে হবে। হাস্যরস কিছু রাখতে হবে। এমন কিছু হাস্যরস বিষয় রাখুন, যা একসঙ্গে উপভোগ করা যায়। হতে পারে একসঙ্গে ভ্রমণ করা, সিনেমা দেখা বা কোনো বিষয় নিয়ে গল্প করা। এতে দু’জনেরই মন ভালো থাকে।
খোলামেলা যোগাযোগ: সম্পর্ক স্বাস্থ্যকর করতে সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ। নিজের চিন্তাভাবনা, আবেগ-অনুভূতি ও উদ্বেগ, সবই ভাগ করে নিতে হবে। তা না হলে পিছিয়ে থাকবেন আপনি। যোগাযোগ ও উদ্দেশ্য যখন সৎ ও পরিষ্কার হয়, তখন সম্পর্ক থেকে সমস্যা দূরে থাকে। নিজেদের মধ্যে বিশ্বাস বাড়ে এবং সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়।
সঙ্গীর প্রশংসা করা: সকালে হঠাৎ করেই নাশতা বা চা-কফি দেয়া, চেক ইন করার জন্য দ্রুত বার্তা দেয়া বা হাত ধরে একসঙ্গে হাঁটার সময় পাশাপাশি থাকেন দম্পতিরা। এসব মুহূর্তকে প্রাধান্য দেয়া হয়। দৈনন্দিন জীবনের এমন মুহূর্তগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, প্রশংসা করা বন্ধনকে দৃঢ় করে। এতে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা বাড়ে।
চুয়াডাঙ্গায় মুজিব-হাসিনার ম্যুরাল ও আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর
ব্যক্তিগত স্থানকে সম্মান করা: একসঙ্গে থাকতে গিয়ে প্রতিটি সম্পর্কে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রয়োজন হয়। আদর্শ দম্পতিরা জানেন, একে অপরের স্থানকে সম্মান করা গুরুত্বপূর্ণ। এর অর্থ এই নয়, আপনি সঙ্গীকে কম ভালোবাসেন। নিজের বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়া ও শখ পূরণের জন্য ব্যক্তিগত সময়ের প্রয়োজন হয়। এ সময় ছেড়ে দেয়া বা সঙ্গীকে এই সুযোগ দেয়ার ফলে সম্পর্ক ভালো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।