জুমবাংলা ডেস্ক : শরীয়তপুরের ডোমসারে ১০টি বসতঘরসহ ১৭টি ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের কোয়ারপুর দপ্তরিকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দুপুরে দপ্তরিকান্দি এলাকার রাজ্জাক বেপারী ও তার বাড়ির অন্য সদস্যরা দাওয়াতে গিয়েছিলেন। হঠাৎ করেই তাদের বাড়িতে আগুন দেখতে পান কয়েকজন স্থানীয়। পরে তাদের ডাকে অন্যরা এসে একত্রিতভাবে আগুন নেভানো শুরু করেন। দীর্ঘ এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন তারা। তবে এর আগেই ১০টি বসতঘর ও ৭টি রান্নাঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয়রা ধারণা করছেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। বাড়িতে কেউ না থাকায় কোনো কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। আগুনে আসবাবপত্র, খাদ্যসামগ্রী, জামাকাপড়সহ বাড়ির শিক্ষার্থীদের পড়ার বইখাতা সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী রাজ্জাক বেপারী বলেন, আমরা দুপুরে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। পরে খবর পাই বাড়িতে আগুন লেগেছে। এসে দেখি সব পুড়ে শেষ। আমার ঘরে নগদ দেড় লাখ টাকাসহ ব্যবসার সিলভারের জিনিসপত্র ছিল। এখন আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও নেই।
সুজন বেপারী নামের আরেক ভুক্তভোগী বলেন, আমি কিস্তিতে দুই লাখ টাকা এনেছি। একটা টাকাও নেই, সব পুড়ে গেছে। আমার বউয়ের গয়না, বাচ্চাদের পড়ার বইগুলো সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন সরকার যদি আমাদের সাহায্য না করে তাহলে বাঁচার আর পথ নেই।
স্থানীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক আক্কাস আলী বলেন, এই ১০টা পরিবারের মাথা গোঁজার ঘরসহ সব পুড়ে গেছে। পরিবার নিয়ে কোথায় থাকবে, সেই ব্যবস্থাও নেই। বাচ্চাদের পড়ার বই, ব্যাগ, জামাকাপড় সব পুড়ে গেছে। সরকার যদি কিছু করে তাহলে তাদের থাকার মতো ঘর হবে।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাফিস এলাহী বলেন, আমরা এরই মধ্যে খবর পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে কম্বল দেওয়া হবে। পরে তাদের আবেদনের ভিত্তিতে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।