লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিজ্ঞান থেকে দর্শন পর্যন্ত শরীর এবং এর আত্মা নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত কেউই সঠিকভাবে জানতে পারেনি, যে আত্মা কী এবং মৃত্যুর পর কীভাবে শরীর ত্যাগ করে। এমনকি বিজ্ঞানের কাছে ও কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই যে আত্মার মতো একটি জিনিস আছে যা শরীরের প্রবেশ করে এবং ছেড়ে যায়। তবে একটি গবেষণায় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে আত্মারও ওজন আছে।
বিশ্বের সব ধর্মগ্রন্থেই আত্মার তত্ত্ব গৃহীত হয়েছে। এই তত্ত্বের উপর কাজ করে ১৯০৭ সালে ম্যাসাচুসেটসের হ্যাভারহিলের চিকিৎসক ডানকান ম্যাকডুগাল (Duncan MacDougall) তার চারজন সহকর্মীর সাথে একটি পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। মৃত্যুর খুব কাছাকাছি কিছু রোগীর উপর তিনি এই পরীক্ষা করেছিলেন। ওই রোগীদের মৃত্যুর আগে এবং মৃত্যুর পর ওজন নেওয়া হয়েছিল, যা উল্লেখযোগ্য হয়ে পরিবর্তিত হয়।
ডানকান ম্যাকডুগালের মতে, পরীক্ষারটি মোট ৫০ জন রোগীর উপর চালানো হয়েছিল, যাদের ওজন মৃত্যুর আগে এবং পরে আলাদা হয়। এই পার্থক্য ছিল মাত্র ২১ গ্রাম। রোগীদের ওজনের ২১ গ্রাম হ্রাস পাওয়াকেই আত্মার ওজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল, কারণ এটি সমস্ত রোগীর ক্ষেত্রেই একই ওজন ছিল।
এমনকি ওই সমস্ত রোগীদের শরীরের ওজনও আলাদা আলাদা ছিল, কিন্তু তারা মারা যাওয়ার পর তাদের ওজন ২১ গ্রাম হালকা হয়। এরপর ওই চিকিৎসক কুকুরের উপরেও একই গবেষণাটি করেছিলেন কিন্তু এবারের ফলাফল ছিল ভিন্ন। জীবিত ও মৃত অবস্থায় কুকুরের ওজনের কোন পার্থক্য ছিল না।
এরপর কুকুর নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর সেই তত্ত্ব নিয়ে অন্যরা বলেছিল যে প্রাণীদের আত্মা নেই। যাইহোক সনাতন ধর্ম এবং বিজ্ঞানীদের মতে প্রতিটি জীবের মধ্যে একটি আত্মা আছে। যদিও বিশ্বের অন্যান্য চিকিৎসকেরা ডানকান ম্যাকডুগালের আত্মার গবেষণাকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলেন এবং তারা পুরো বিষয়টিকে একটি পাবলিসিটি স্টান্ট বলে অভিহিত করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।