স্পোর্টস ডেস্ক : ভালো পুঁজির পর বল হাতে শুরুটা দারুণ করেছিল বাংলাদেশ। তবে পাথুম নিশাঙ্কা আর চারিথ আসালঙ্কার চতুর্থ উইকেট জুটি বদলে দিল ম্যাচের গতিপথ। এ দুই ব্যাটার সাজঘরে ফিরলেও জয় পেতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি শ্রীলংকাকে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৮৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে রোমাঞ্চকর এক জয় তুলে নেয় লংকানরা।
জাতীয় দলে অভিষেকের পর থেকে ব্যাট হাতে দারুণ প্রতিভা দেখানো সৌম্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধারাবাহিকতার চরম অভাব দেখিয়েছেন। তবুও প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের চাওয়ায় তিনি বেশ সুযোগও পেয়েছেন। জাতীয় দলে ঢোকার পথ তৈরি করতে খেলেছেন এইচপি কিংবা জুনিয়র দলগুলোর সঙ্গেও। যেখানে পারফর্ম করে তিনি ফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়মিত হয়ে উঠছেন। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইনিংস বড় করতে না পারলেও, আজ দলের প্রয়োজনে খেলেছেন কার্যকরী ইনিংস।
৬৬ বল মোকাবিলায় তিনি মেরেছেন ১১টি চার ও একটি ছক্কা। এই ইনিংসের পথেই সৌম্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দুই হাজার রান পূর্ণ করেছেন। যা বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে দ্রুততম দুই হাজার রানের রেকর্ড। এমন কীর্তি গড়তে বাঁ-হাতি এই ওপেনার ৬৮টি ওয়ানডে খেলেছেন। ৬৪ ইনিংসে ৩৩.৫৩ গড় এবং ৯৭.৪৮ স্ট্রাইকরেট ২০১২ রান করেছেন সৌম্য। এমন কীর্তি গড়তে ৩১ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান তিনটি সেঞ্চুরির সঙ্গে ওয়ানডেতে ১২টি ফিফটি হাঁকিয়েছেন।
এর আগে টাইগারদের হয়ে সবচেয়ে দ্রুততম দুই হাজার রানের রেকর্ড ছিল দুজনের। এতদিন পর্যন্ত যৌথভাবে দ্রুততম ওই কীর্তিতে শীর্ষে থাকা শাহরিয়ার নাফিস ও লিটন দাসের লেগেছিল সমান ৬৫ ইনিংস। তাদের দুজনকেই টপকে গেছেন সৌম্য। ২০১১ সালে চট্টগ্রামের একই ভেন্যুতেই সাবেক ক্রিকেটার নাফিস নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছেছিলেন। এরপর যা টিকেছিল এক যুগ। এরপর গত বছর সমানসংখ্যক ইনিংসে দুই হাজার রান পূর্ণ করে নাফিসের পাশে বসেন লিটন। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টাইগারদের ম্যাচটি হয়েছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
এদিকে, দশম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে দুই হাজারি রানের মাইলফলক পূর্ণ করেছেন সৌম্য। তার আগে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে বেশিরভাগই বর্তমানেও খেলছেন। সৌম্য’র সামনে সবার আগে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে সাবেক দুই ব্যাটসম্যান হাবিবুল বাশার (২১৬৮) ও শাহরিয়ার নাফিসকে (২২০১)। ফরম্যাটটিতে সর্বোচ্চ রান নিয়ে বাংলাদেশের সেরা রানসংগ্রাহক তামিম ইকবাল (৮৩৫৭)। এরপর যথাক্রমে আছেন মুশফিকুর রহিম (৭৭৫৫), সাকিব আল হাসান (৭৫৭০), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৫৩৮৫) ও মোহাম্মদ আশরাফুল (৩৪৬৮)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।