স্পোর্টস ডেস্ক: বর্তমান বিসিসিআই-এর অধিনায়ক এবং প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম আইকনিক ক্যারেক্টার এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। ‘গড অন দ্য অফ-সাইড’ নামেও পরিচিত, গাঙ্গুলিকে সবচেয়ে সফল ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে একজন বলেই গণ্য করেন সকলে।
তিনি ভারতকে ২১টি টেস্ট ম্যাচ জয় এবং ৭৬টি ওডিআই জিততে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যার মধ্যে ইংল্যান্ডে ২০০২ সালের বিখ্যাত ন্যাটওয়েস্ট সিরিজ জয় সেই বছর শ্রীলঙ্কার সাথে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় করে ছিলেন। অনেকে বিশ্বাস করেন যে বিদেশে টেস্ট ম্যাচ জেতার জন্য ভারতীয় ক্রিকেটারদের মনে সাহস তৈরি করেছিলেন একমাত্র তিনিই।
caknowledge.com-এর তথ্য অনুযায়ী , ৪৯-বছর-বয়সী সৌরভ গাঙ্গুলির মোট সম্পদ সম্পর্কে বলতে গেলে বিস্তর আলোচনা করতে হবে। তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় $৫০ মিলিয়ন (INR ৩৬৫ কোটি)। চণ্ডীদাস গাঙ্গুলির বিত্ত-শালী পরিবারে জন্মগ্রহণ করয়েছেন তিনি, চণ্ডীদাসের অত্যন্ত সফল প্রিন্টের ব্যবসা ছিল।
সৌরভ গাঙ্গুলী তার ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময়ই একজন শীর্ষ ক্রিকেটার ছিলেন। এরপর ভারতীয় ক্রিকেট থেকে রেটিরে হবার পর, তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ানের হয়ে আইপিএলে অংশ নেন। আইপিএলের তালিকায়ও তাকে অনেক স্কোর করতে দেখেছেন ভক্তরা। অবসর গ্রহণের পরে, গাঙ্গুলি তখন কমেএন্ট্রিতে মসৃণ ও সুন্দর রূপে কথার ধরনের প্রশংসা পেয়ে ছিলেন এবং একজন প্রধান কমেন্টেটর হিসেবে অর্থ ও ভালোবাসা উপার্জন করেছিলেন।
এরপর বিসিসিআই-তে প্রশাসকের চাকরি সুযোগ আসে যা গাঙ্গুলির আয়কে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। ২০১৫ থেকে অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত তিনি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সভাপতি ছিলেন। অক্টোবর ২০১৯-এ তিনি বিসিসিআই-এর সভাপতি হন এবং তখন থেকে এই পদে রয়েছেন। জানা গেছে যে তার মাসিক বেতন ২ কোটির বেশি, তাই বিসিসিআই সভাপতি হিসাবে তিনি বছরে দুই ডজন কোটিরও বেশি উপার্জন করেন।
দেশের একজন প্রিয় ও পূজনীয় চরিত্র হওয়ায়, গাঙ্গুলি স্পনসরদের কাছ থেকে বড় চুক্তি পেয়ে থাকেন। caknowledge.com-এর তথ্য অনুযায়ী, Puma এবং DTDC-এর মতো বড়ো ব্র্যান্ড থেকে তার ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট ফি, প্রতি বছর ১ কোটির বেশিই আয় হয়। এর পাশাপাশি জী বাংলা চান্যেলে দাদাগিরি দারাবাকিকে অ্যাঙ্করের ভূমিকায় ও দেখা যায় তাকে, এই দিকেও তার আয়ের মূল্য নেহাতই কম নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।