স্পোর্টস ডেস্ক : ত্রয়োদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের নবম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে আফগানদের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাঁচ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে প্রোটিয়ারা। এ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুইয়ে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখলো টেম্বা বাভুমার দল।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান সংগ্রহ করেছে আফগানরা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেট ও ১৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে প্রোটিয়া বাহিনী।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন কুইন্টন ডি কক ও টেম্বা বাভুমা। ম্যাচের শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন এ দুই ব্যাটার। এভাবে তারা দু’জন নির্বিঘ্নে ১০ ওভার কাটিয়ে দেন।
তবে ম্যাচের ১১তম ওভারে প্রোটিয়া দলপতি বাভুমার উইকেট শিকার করেন মুজিব উর রহমান। এরপরই সাজঘরে ফিরে যান কুইন্টন ডি কক। ফিফটির পথে থাকা এ বাঁ-হাতিকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন মোহাম্মদ নবী।
এরপর ক্রিজে আসেন রাসি ফন ডার ডুসেন। তার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে তোলেন এইডেন মার্করাম। তবে উইকেটে থিতু হয়েও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মার্করাম (২৫)। পরে উইকেটে আসেন হেনরিখ ক্লাসেন। কিন্তু ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। রশিদ খানের ঘূর্ণিতে ১০ রানেই কাটা পড়েন এ ব্যাটার।
রান তাড়ায় টপ অর্ডারদের হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে প্রোটিয়ারা। তবে ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে আবারো প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ডুসেন। এ জুটির ব্যাট থেকে আসেন ৪৩ রান। ম্যাচের ৩৮তম ওভারে এ জুটিতে আঘাত হানেন নবী। তার ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে ২৪ রানেই থামেন মিলার।
আফগান স্পিনারদের তোপ সামলে ব্যাট হাতে লড়াই চালিয় যান ডুসেন। শেষ মুহূর্তে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন আন্দিল ফেলুকওয়ায়ো। তাদের দু’জনের ব্যাটেই প্রোটিয়াদের জয় নিশ্চিত হয়েছে।
এদিন আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবী।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগান দলপতি হাশমতউল্লাহ শাহিদী। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। তারা দু’জন মিলে নির্বিঘ্নে ৮ ওভার কাটিয়ে দেন। তবে নবম ওভারের শুরুতেই কেশব মহারাজের ঘূর্ণিতে কাটা পড়েন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ২৫ রান।
পরে বাইশ গজে আসেন রহমত শাহ। এরপরই সাজঘরের পথ ধরেন ইব্রাহিম জাদরান (১৫) ও আফগান দলপতি হাশমতউল্লাহ শাহিদী (২)। নিয়মিত বিরতিতে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে আফগানরা।
এরপর উইকেটে আসেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তার সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন রহমত। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই রহমতকে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন লুঙ্গি।
ম্যাচের ২৭তম ওভারে ইকরামকে ডি ককের তালুবন্দী করেন কোয়েৎজে। পরের ওভারেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবীও (২)। এরপর বলার মতো কেউই তেমন রান করতে পারেননি।
প্রোটিয়াদের চোখে চোখ রাঙিয়ে ব্যাট হাতে একাই লড়াই চালিয়ে যান আজমতউল্লাহ। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ৯৭ রানে অপরাজিত ছিলেন এ ডানহাতি ব্যাটার। মূলত তার রানে ভর করেই ২৪৪ রানের পুঁজি পেয়েছে আফগানিস্তান।
এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন জেরার্ল্ড কোয়েৎজে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।