জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বাজেট পেশের দিন গত বৃহস্পতিবার সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৭ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এর আগে গত ৫ মে সয়াবিন তেলের দাম ৩৮ টাকা বেড়ে ১৯৮ টাকা হয়েছিল।
তবে এই নতুন দামের তেল বাজারে আসতে আরও ২-৩ দিন লাগবে।
শনিবার (১১ জুন) সরেজমিনে রাজধানী বিভিন্ন বাজার ও অলিগলির দোকানে আগের দামে ১৯৮ টাকায় বোতলজাত তেল বিক্রি করতে দেখা গেছে।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, কেবল বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে, নতুন দাম নির্ধারণ হলেও বাজারে আগের দামের তেল রয়ে যাওয়ায় পুরনো দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল।
রাজধানীর জোয়ার সাহারা বাজারের এক খুচরা ব্যবসায়ী নোমান বলেন, আগে আনা সয়াবিন তেলই এখনো বিক্রি করছি। দুই লিটার সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি করছি ২৯৬ টাকা ও পাঁচ লিটার ৯৮৫ টাকা। পুএনা দামের তেলে বাজারে যে পরিমাণ আছে তা দিয়ে এক সপ্তাহ চলবে। এরপর নতুন করে সরবরাহ পাওয়া তেলের বোতলে যে দাম উল্লেখ থাকবে সে অনুযায়ী বিক্রি করবো।
এদিকে, কারওয়ান বাজারেও আগের দামেই তেল বিক্রি হচ্ছে। নতুন দাম নির্ধারণ হলেও সব দোকানেই আগের দামের তেল রয়ে গেছে। তা বিক্রিও হচ্ছে বোতলে উল্লেখ করা দামেই। তবে অধিকাংশ দোকানেই খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করতে দেখা যায়নি। দুই-একটি দোকানে খোলা তেল বিক্রি করলেও তারা আগের দামই রাখছেন।
কারওয়ান বাজারের নাবিলা জেনারেল স্টোরের মালিক জহির বলেন, নতুন দামের তেল পাইকার এখনো দেয় নাই। যতদিন পুরনো দামে তেল পাবো ততদিন আগের দামেই তেল বিক্রি করবো।
একই বাজারের ব্যবসায়ী মাশফিক পাম অয়েল বিক্রি করে। তিনি বলেন,আগের নির্ধারিত দাম ১৫৮ টাকা লিটারে পাম অয়েল বিক্রি করছি।
বাড্ডায় জিম স্টোরে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা লিটার।
মোহাম্মদপুরের হিমেল জেনারেল স্টোরের মালিক কুদরত বলেন, আজও ডিলারের কাছ থেকে পুরনো দামেই তেল কিনেছি। যেদিন থেকে কিনবো সেদিন থেকেই বোতলে উল্লেখ থাকা দরে তেল বিক্রি করবো।
তবে ব্যতিক্রম পাড়া-মহল্লার দোকানগুলো। তারা আগে সরবরাহ পাওয়া তেল বোতলের গায়ের দামের থেকে লিটারে ২ থেকে ১৫ টাকা বেশি নিচ্ছে।
উল্লেখ্য; নতুন দর অনুয়ায়ী এক লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম মিল গেটে ১৯৫, পরিবেশক পর্যায়ে ১৯৯ ও খুচরায় ২০৫ টাকা। ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল মিল গেটে ৯৫২, পরিবেশক পর্যায়ে ৯৭২ ও খুচরায় ৯৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর খোলা সয়াবিন তেল লিটার প্রতি মিল গেটে ১৮০, পরিবেশক পর্যায়ে ১৮২ ও খুচরায় ১৮৫ টাকা দরে বিক্রি হবে। পাম তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মিল গেটে ১৫৩, পরিবেশক পর্যায়ে ১৫৫ ও খুচরায় ১৫৮ টাকা লিটার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।