লাইফস্টাইল ডেস্ক : সন্তানধারণে সমস্যা দেখা দিলে অনেক সময় নারীদের দিকেই আঙুল ওঠে, তবে পুরুষদের শারীরিক সমস্যাও এর নেপথ্যে থাকতে পারে। বিশেষ করে, বীর্যে শুক্রাণুর ঘনত্ব কম হলে সন্তান লাভে বিলম্ব হতে পারে। তাই পুরুষদের জন্য শুক্রাণুর ঘনত্ব বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুললে এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব।
১. সুষম আহার গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা
শুক্রাণুর স্বাস্থ্য এবং ঘনত্ব বৃদ্ধির জন্য সুষম খাবার খাওয়া ও সঠিক ওজন বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল ও সবজি (যেমন – পালং শাক, টমেটো, বেরি, কমলালেবু) বেশি করে খেতে হবে। এগুলি শুক্রাণুকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
- কুমড়োর বীজ, বাদাম, ডিম ও মাংস থেকে প্রাপ্ত জিঙ্ক শুক্রাণু উৎপাদনে সাহায্য করে।
- স্যামন ও ম্যাকারেলের মতো মাছ, ফ্ল্যাক্সসিড ও আখরোটের মতো খাবার থেকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা শুক্রাণুর গুণমান উন্নত করে।
- অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে শুক্রাণুর ঘনত্ব কমাতে পারে, তাই স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা জরুরি। এজন্য প্রক্রিয়াজাত ও অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
২. নিয়মিত ব্যায়াম করা
মাঝারি ধরনের ব্যায়াম যেমন দ্রুত হাঁটা, সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানো হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং শুক্রাণু উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত কঠোর ব্যায়াম শুক্রাণুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, তাই পরিমিত ব্যায়ামই উত্তম।
৩. ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার এবং স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ
ধূমপান এবং অতিরিক্ত মদ্যপান শুক্রাণুর ঘনত্ব ও গুণমান দুটোই কমিয়ে দিতে পারে। তাই এই অভ্যাসগুলি পরিহার করা উচিত।
এছাড়া, অতিরিক্ত মানসিক চাপ হরমোনের ভারসাম্যে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। যোগব্যায়াম, মেডিটেশন অথবা শখের চর্চার মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো যেতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুমও শুক্রাণুর সুস্থতার জন্য জরুরি।
বিশেষ পরামর্শ: শুক্রাণুর ঘনত্ব নিয়ে যদি কারও উদ্বেগ থাকে, তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।