লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমাদের জীবনে অহেতুক কিছু দুর্ঘটনা ঘটে। দুঃস্বপ্নেও যেই বিষয়টি ভাবা হয় না, তাই ঘটে। এই যেমন আপনি একটি মহিলাকে খুব করে ভালোবাসলেন। তাঁরা জন্য মন প্রাণ দিয়ে দিলেন। কিন্তু হয়ে গেল ব্রেকআপ। এমনকী সেই মহিলাই আপনাকে আবার নিজের বিয়েতে নিমন্ত্রণ করতে পারেন। তখন কী করবেন? এটাই মানুষ বুঝতে পারেন না।
মানুষের জীবনে নানা পর্যায় রয়েছে। পূর্বরাগ পর্ব যখন ঠিক পথে এগয় না, তখন বিচ্ছেদ হয়। এবার সেই বিচ্ছেদের পরও সব খেলা শেষ হয় না। এমনটা হতেই পারে যে কোনও একদিন সেই পুরনো প্রেমিকা হাজির হল আপনার সামনে। হাতে তাঁর একটি কার্ড। এই আমন্ত্রণ পত্রটি মহিলার বিয়ের।
তিনি আপনার হাতে সেই কার্ড দিলেন। খুব করে আসতে বললেন। ব্যবহারটা এমন যেন আপনাদের মধ্যে কোথাও কিছু হয়নি। এই কার্ড পেয়ে আপনি তো হতবাক! কী হয়, কী হয় পরিস্থিতি! মন দুরুদুরু। কী করবেন বুঝতে পারছেন না।
এই পরিস্থিতিতে একাধিক প্রশ্ন মাথায় ঘুরতে থাকে। তবে সেই নিয়ে বেশি চাপ নেবেন না। বরং আমরা এমন কিছু টিপস দেব, যার মাধ্যমে করা যেতে পারে সমস্যার সমাধান। তাই চিন্তা নেই বললেই চলে।
ভুলে যান অতীত
তিনি আপনাকে সব ভুলেই কার্ড দিয়েছেন। তাঁর মনে সেই স্মৃতি দগদগে থাকলে কোনও মতেই এই কাজটি করতে পারতেন না। তাই আপনি আর মনে রেখে কী করবেন। বরং ভুলে যান যত সমীকরণ। এই অধ্যায়টাকে মারতে হবে কন্ট্রোল ডিলিট। তবেই আপনি সহজে বিষয়টাকে নিতে পারবেন। এরপর অনায়াসে হাজির হওয়া যায় তাঁর বিয়েতে।
যেতে পারেন বন্ধুদের সঙ্গে
আপনাদের কিছু কমন ফ্রেন্ড থাকতে পারে। এই বন্ধুদের সঙ্গেই আপনি তাঁর বিয়েতে যাওয়ার চেষ্টা করুন। বেশি সময় কাটাবেন না। তবে যেইটুকু থাকবেন, বন্ধুদের সঙ্গে থাকুন। আর হ্যাঁ, কোনও মতেই যেন পুরনো কথা না ওঠে, এটা নিশ্চিত করতে হবে। তবেই এই দিনটা কাটিয়ে দিতে পারবেন অনায়াসে। মান বাঁচবে ভালোয় ভালোয়।
প্রাক্তনের সঙ্গে বেশি কথা নৈব নৈব চ
আপনি বিয়েতে গিয়েছেন। সেখানে বন্ধুদের সঙ্গেই ঘুরতে পারেন, যেমনটা বলা হয়েছে। কারণ প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে বেশি কথা বললে সমস্যা হতে পারে। তখন আপনার মনে নানা স্মৃতি ভাসতে থাকবে। তাই নিজের মন খারাপ করে লাভ নেই। বরং আপনি তাঁর থেকে দূরে থাকুন। পার্টিতে গিয়েছেন, মজা করুন, খাওয়াদাওয়া করুন। ব্যস, এইটুকুই। আর হ্যাঁ, মদ্যপান অন্তত এই দিনটায় করবেন না। কেলো হতে পারে পুরো।
শুভেচ্ছা জানান
অন্যের জন্য ভালো ভাবনা মনে আনলে নিজের মন প্রশান্তি আসে। তাই তাঁর জন্য শুভকামনা করুন। তাঁকে সরাসরি শুভেচ্ছা জানান। নিজের মন থেকে কথাটা বের করুন। দেখবেন আপনি ভালো থাকতে পারছেন। কোনও কালো দাগ থাকছে না। সব জটিলতা দেখবেন নিমেষে দূর হবে। এটাই ভালো থাকার রাস্তা। আর হ্যাঁ, বিয়ের বাড়ির খাবার খেতে একদম ভুলবেন না যেন!
যাবেন না
সবাই সব জিনিসের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন না। তাই আপনার মনে যদি বিষয়টা নিয়ে বেশি সমস্যা হয়, তবে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। নিজেকে দুঃখ দিয়ে কোনও কাজ করবেন না। এটা নিজের জন্য খারাপ। বরং যা ভালো লাগে তাই করুন। এটাই হল জীবনের লক্ষ্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।