লাইফস্টাইল ডেস্ক : বাঙালিরা ভাতের পরই যে খাবারটির সঙ্গে বেশি পরিচিত এবং খেতে অভ্যস্ত তা হলো আটার রুটি। অন্যান্য রুটি থেকে এ রুটি বেশি স্বাস্থ্যকর। কিন্তু এ রুটি কি বাসি খাওয়া ঠিক?
আটার রুটি বানানোর পর অনেক সময়ই দেখা যায়, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি রুটি বানানো হয়েছে। তখন অনেকেই তা ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন।
অনেকে আবার কাজের সুবিধার জন্য আটার রুটি বেশি পরিমাণে বানিয়ে রাখেন। প্রয়োজন মতো ফ্রিজ থেকে বের করে গরম করে খান।
এই যে রুটি বাসি করে খাওয়ার প্রবণতা তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নাকি দারুণ উপকারী সে বিষয়ে অনেকেরই স্বচ্ছ ধারণা নেই। কারণ অনেককে আবার দেখা যায় বাসি রুটি খান না।
বাসি রুটি কাওয়ার প্রবণতা যাদের রয়েছে তাদের জন্য কিন্তু সুখবর। কারণ বাসি রুটি খেলে মিলে নানান ধরনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা। আর যারা বাসি রুটি খান না তারা আজ থেকে এ অভ্যাস ভুলে যান।
কারণ পুষ্টিবিদরা বলছে, বাসি রুটি শরীরের নানা অসুখ মোকাবিলা করতে পারে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম নিউজ ১৮ বাংলায় প্রকাশিত হওয়া এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাসি রুটি বিশেষ কিছু জটিল রোগের সমস্যা কমাতে দারুণ কাজের।
যেমন যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন সকালে দুধের সঙ্গে বাসি রুটি খান। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বাসি রুটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
হাঁপানি, অ্যাজমার মতো সমস্যায় জাদুর মতো কাজ করে বাসি রুটি। কারণ বাসি রুটিতে ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিনের পরিমাণ বেশি থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাসি রুটি শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে। পেটে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদ হজম এমন কি স্ট্রোকের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে আটার তৈরি বাসি রুটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।