আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০২৬ সাল থেকে ইউরোপের কিছু প্রধান বিমান সংস্থা ইকোনমি শ্রেণির কিছু আসনের পরিবর্তে চালু করতে যাচ্ছে ‘স্ট্যান্ডিং সিট’ বা দাঁড়িয়ে ভ্রমণের আসন। এর মূল লক্ষ্য হলো ফ্লাইট পরিচালনার খরচ কমানো এবং কম দূরত্বের স্বল্প পাল্লার ফ্লাইটগুলোতে যাত্রীদের জন্য ভ্রমণকে আরও সাশ্রয়ী করে তোলা।
স্পেনভিত্তিক ইউরোউইকলি নিউজ জানায়, এই নতুন ধরনের আসনের নাম ‘স্কাইরাইডার ২.০’, যা ২০১৮ সালে ইতালিয়ান কোম্পানি এভিওইনটেরিয়রস তৈরি করে। আসনটি ৪৫ ডিগ্রি কোণে হেলানো অবস্থায় থাকে, যেখানে যাত্রীদের শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে পা ও শরীরের পেশি ব্যবহার করতে হয়। এটি অনেকটা সাইকেলের স্যাডেল বা ট্রামে দাঁড়িয়ে যাতায়াতের অভিজ্ঞতার মতো। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এতে সিটবেল্টও রাখা হয়েছে।
এই ধরনের আসন প্রচলিত আসনের তুলনায় প্রায় অর্ধেক জায়গা নেয় ও অনেক হালকা, যার ফলে জ্বালানি সাশ্রয় হয় এবং একই ফ্লাইটে আরও বেশি যাত্রী পরিবহন সম্ভব হয়। এতে টার্নঅ্যারাউন্ড সময়ও কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে এই নতুন ধারণা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ এটি স্বাগত জানাচ্ছেন, কারণ তারা কম খরচে যাত্রার সুযোগ পাচ্ছেন। অন্যদিকে অনেকেই আশঙ্কা করছেন আরাম ও মর্যাদার অভাব নিয়ে, এবং একে তারা ট্রেনে দাঁড়িয়ে যাতায়াতের সঙ্গে তুলনা করছেন।
তবে এখনি এই আসন ব্যবহারের জন্য ইউরোপীয় বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত অনুমোদন প্রয়োজন। অনুমোদন মিললে ইউরোপ ছাড়িয়ে অন্যান্য অঞ্চলেও এই মডেল জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে। সফল হলে এটি হয়ে উঠতে পারে কম দামি বিমান ভ্রমণের নতুন দিগন্ত। তথ্যসূত্র: ইউরো উইকলি নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।