স্পোর্টস ডেস্ক : জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি দল থেকে বিশ্রামের মোড়কে বাদ পড়েছেন মুশফিকুর রহিম। যিনি হজে যাওয়ার কারণে সর্বশেষ উইন্ডিজ সিরিজেও খেলেননি। হজ থেকে ফিরে মুশফিক নিজের ফেসবুকে পেইজে দুটি পোস্ট করেন। যা ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক।
বাংলাদেশ দলের ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ খ্যাত এই তারকা আবেগ সামলাতে না পেরে বারবার মাঠের বাইরে বিতর্কিত হচ্ছেন। আজ ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে আবেগ সামলে পেশাদার হওয়ার পরিস্কার বার্তা দিয়েছে বিসিবি।
গত ২১ জুলাই ফেসবুকে নিজের স্বীকৃত পেজে অনুশীলনের একটি ভিডিও পোস্ট করে মুশফিক ক্যাপশনে লেখেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, তখনই আনন্দ লাগে, যখন অধিকাংশ লোক ঘুমাচ্ছে এবং আপনি কঠোর পরিশ্রম করছেন। ‘ এরপর ২৩ জুলাই নিজের আরেকটি ছবি পোস্ট করেন মুশফিক। যাতে সেখানে তাকে প্যাভিলিয়নের সোফায় জাতীয় পতাকার নিচে গা এলিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে দেখা যায়। ক্যাপশনে বেশ কয়েকটি ইমোজি, যেগুলোর দ্বারা বিসিবির দেওয়া বিশ্রামকেই কটাক্ষ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই দুটি পোস্ট ঘিরে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। মুশফিকের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে জানতে চাইলে তিনি নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘আমি যেমন পেশাদার, আমার চাকরির খবর তো বাসায় যায় না বা আমার বাসার খবর তো চাকরির জায়গায় এসে জানাই না যে আজকে আমি আমার বউয়ের সাথে ঝগড়া করে আসছি। এখানে বিষয়টা একই রকম। আমরা কীভাবে পেশাদার হতে পারি এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ক্রিকেট একটা পরিবার, এখানকার কথাগুলো বাইরে যাওয়াটাও একটা ভুল বার্তা দেয়। সেটা যে-ই দিচ্ছে বা যারা-ই দিচ্ছে, এটা ভালো না, স্বাস্থ্যকর না। আমরা এসব নিয়েও কথা বলেছি। আমার মনে হয় যে এটা আমাদের সময় যে সংস্কৃতি গড়ে তোলা। ‘
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আজকে ছেলেদের একটা পরিষ্কার বার্তা দিয়েছি যে পেশাদারিত্ব তৈরি করতে। আমাদের পেশাদার হতে হবে। আমাদের ক্রিকেট সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে। হ্যাঁ, আমাদের অনেকের মন খারাপ হতে পারে। বাদ পড়লে মন খারাপ হবে স্বাভাবিক। দলে ঢুকলে মন খুশি হয়। ভালো খেললে ভালো লাগে, খারাপ খেললে খারাপ লাগে। ক্রিকেট একটা মনস্তাত্ত্বিক খেলা, এখানে সবচেয়ে বেশি মানসিক চাপটা আসে। আমরা কেন ভালো খেলি না? মানসিক দৃঢ়তার কারণেই তো এমন হয়? আমার কথা হচ্ছে, যতদিন পর্যন্ত এসব সংস্কৃতি আমরা তৈরি করতে পারব না, ততদিন পর্যন্ত ভালো একটা দল হয়ে উঠতে পারব না। ‘
সিনিয়র ক্রিকেটাররা যদি এমন অপেশাদার আচরণ করেন, তাহলে তরুণরা কী শিখবেন- এমন প্রশ্নে সুজন বলেন, ‘আমি আসলে ওদিকে যেতে চাই না। মানুষই তো ভুল করে, ভুল থেকে শেখে। আমি মনে করি, আজকের পর থেকে এগুলো আর হবে না। সবাই দায়িত্বশীল, যারাই বাংলাদেশ দলে খেলে। তারা দেশের ক্রিকেটের আইকন, দেশের আইকন। যেমন নুরুল হাসান সোহানকে শুধু দেশে না, দেশের বাইরেও মানুষ চেনে। সুতরাং, তারা নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে বুঝবে। খেলাটা শুধু মাঠের না, মাঠের বাইরেও অনেক খেলা আছে। সে জায়গাগুলোতেও আমাদের ভালোভাবে সামলে নিতে হবে, খুব সাবধানে সামলাতে হবে। । ‘
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।