জুমবাংলা ডেস্ক : টানা কয়েক দিনের তীব্র দাবদাহে সুবাতাস বইছে লবণ চাষে। ৬০ হাজার একরের বেশি মাঠে দৈনিক রেকর্ড ৩৫ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হচ্ছে। এতে খুশি কক্সবাজার উপকূলের ৪৫ হাজারের বেশি প্রান্তিক লবণচাষি।
কক্সবাজার উপকূলের কয়েক হাজার একর জমিতে চলছে লবণ উৎপাদন। চাষিরা মাঠের ওপর কালো তেরপল বিছিয়ে সমুদ্রের লোনাপানি জমিয়ে রাখছেন। তপ্ত রোদে শুকিয়ে সেই পানি লবণে পরিণত হচ্ছে। চাষিরা মাঠে উৎপাদিত লবণ গর্তে ঢুকিয়ে মজুত করছেন। আবার কেউ গুদামে মজুত করছেন কিংবা বিক্রি করে ট্রলারে মিলারদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন।
গত বছর এই সময়ে ৩০ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছিল। তবে এবার তীব্র দাবদাহের কারণে দৈনিক ৩৫ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হচ্ছে, যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ উৎপাদন।
চাষিরা বলেন, আগের বছরগুলোতে লবণ উৎপাদনে লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে এ বছর গরম পড়ায় লবণের বাম্পার উৎপাদন হচ্ছে। দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে গত চার মাসে লবণ উৎপাদন ১৬ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, পরিবেশ অনুকূলে থাকলে চলতি বছর লবণ চাষে জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। এতে বিদেশ থেকে লবণ আমদানির পরিমাণ কমবে।
আর কক্সবাজার বিসিকের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভুঁইয়া বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহ আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে লবণ উৎপাদনে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
চলতি মৌসুমে ৬৬ হাজার ২৯১ একর জমিতে লবণ উৎপাদন হচ্ছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।