জুমবাংলা ডেস্ক : পবিত্র রমজান মাসে রাজধানীর ৫টি অস্থায়ী এবং ২৫টি স্থায়ী স্পটে সুলভ মুল্যে মাছ-মাংস-ডিম- দুধ বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই এসব স্থানে লম্বা লাইনে দাড়িয়ে এসব পণ্য কিনছেন সাধারণ মানুষ। আর এতে মানুষের মনে এসেছে স্বস্তি। সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তারা। কম আয়ের মানুষের পাশপাশি মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরাও এই উদ্যোগে উপকৃত হচ্ছেন।
সুলভ মুল্যের পণ্য বিক্রি শুরু হয় রমজান মাসের প্রথম দিন থেকেই। শুরু থেকে চাহিদা বেশি ছিল গরুর মাংসের। প্রতিদিনই বিক্রয় শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় গরুর মাংস। কারণ খোলা বাজারে গরুর মাংস ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও সরকার বিক্রি করছে ৬৫০টাকায়। এই গরুর মাংসের মান নিয়েও কেউ প্রশ্ন তোলেনি , বরং অনেকেই করেছেন প্রশংসা।
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার গৃহিণী মালেকা জানান, অঙ্কে সময় ধরে লাইনে দাড়িয়ে মাংস কিনলাম। মাংসের মান শুনেছি বেশ ভালো। তবে জনপ্রতি এক কেজি না দিয়ে দুই কেজি বিক্রি করলে ভালো হতো।
মোহাম্মদপুর এলাকায় প্রাণীসম্পদ অধিদফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর আলম জানান, মানুষের মধ্যে প্রচুর আগ্রহ দেখছি। আমরা চাহিদার পুরোপুরি পূরণ করতে না পারলেও মানুষ প্রশংসা করছে। বরাদ্দ আরও বাড়ানো গেলে ভালো হতো। এতে বাজারে এর উপর আরও বেশি প্রভাব পড়তো।
প্রথম রমজান থেকে সবগুলো স্পটে বিক্রি কম হলেও ব্যপক প্রচারের পর বিক্রি ও চাহিদা বাড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর ও কালশীতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র পিকআপ ভ্যানের দুধ-ডিম-মাংস দুই ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়।
কর্মকর্তারা জানান, প্রতিদিন ৩০টি স্পটে ১০০ কেজি গরুর মাংস, ৫০ কেজি ব্রয়লার, ১০ কেজি খাসির মাংস, ২৪শ ডিম এবং ১০০ লিটার দুধ বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারের সঙ্গে পণ্যের মান ও দামে তফাৎ আছে বলেই চাহিদা বাড়ছে।
মিরপুরের কালশী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন সকালের দিকে আমাদের পণ্যগুলো বিক্রি করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সবার আগে গরুর মাংস শেষ হয়। অনেকে পরিমাণে বেশি চান কিন্তু আমরা দিই না। তবে দুধ ও ডিম চাইলে একটু বেশি দেওয়া হচ্ছে। ’
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় ২৫টি স্থানে ভ্রাম্যমাণ ভ্যানের মাধ্যমে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। এসব জায়গায় গরুর মাংস ৬০০ টাকা কেজি, খাসির মাংস ৯০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার ২৫০ টাকা, দুধ ৮০ টাকা লিটার ও ১২টি ডিম ১১০ টাকা রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া স্থায়ী পাঁচটি স্থানে গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। সেখানে গরুর মাংসের দাম রাখা হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি।
রাজধানীর যেসব স্থানে কম দামে মাছ-মাংস ডিম মিলছে, সেগুলো হলো – নতুনবাজার (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি (বনানী), খামারবাড়ি (ফার্মগেট), আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), গাবতলী, দিয়াবাড়ী (উত্তরা), জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর), ষাটফুট রোড (মিরপুর), খিলগাঁও (রেল ক্রসিংয়ের দক্ষিণে), সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গনি রোড), সেগুনবাগিচা (কাঁচাবাজার), আরামবাগ (মতিঝিল), রামপুরা, কালসী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), বসিলা (মোহাম্মদপুর), হাজারীবাগ (শিকশন), লুকাস (নাখালপাড়া), আরামবাগ (মতিঝিল), কামরাঙ্গীর চর, মিরপুর ১০, কল্যাণপুর (ঝিলপাড়া), তেজগাঁও, পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার) কাকরাইল। আর স্থায়ী পাঁচটি বাজারগুলো হলো; মিরপুর শাহ আলি বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, নতুন বাজার (১০০ ফুট), কমলাপুর, কাজি আলাউদ্দিন রোড (আনন্দবাজার)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।