জুমবাংলা ডেস্ক : সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ১৩ পুলিশ সদস্যকে এক সঙ্গে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। এর মধ্যে দু’জন এসআই, দু’জন এএসআই ও নয়জন কনস্টেবল রয়েছেন। তাদেরকে সিলেট পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রাসেলুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদেরকে ক্লোজড করা হয়।
আদেশে তাদেরকে প্রশাসনিক কারণে প্রত্যাহারের কথা বলা হলেও পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ লাইনে সংযুক্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- এসআই খোকন চন্দ্র সরকার ও মিলন ফকির, এএসআই শিশির আহমেদ মুকুল ও শামীম হাসান, কনস্টেবল নাজমুল আহসান, মুন্না চৌধুরী, নাইমুর রহমান, তুষার পাল, আবু হানিফ, সাখাওয়াত সাদী, সাগর চন্দ্র দাস, মেহেদী হোসেন ও কিপেস চন্দ্র রায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা থেকে বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করছিলেন। কোম্পানীগঞ্জ থানার কিছু পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পাথরবাহী গাড়ি থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ ওঠে। তাদের চাঁদা আদায়ের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ভাইরালও হয়। এ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ হয়। এরপরই পুলিশের ওই ১৩ সদস্যকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, কোম্পানীগঞ্জ থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদেরকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।