জুমবাংলা ডেস্ক : বই পড়া একটি সাংঘাতিক ব্যাপার। যারা বই পড়ে আর যারা পড়ে না, তাদের মধ্যে পার্থক্য আকাশ-পাতাল। বই পড়ার অভ্যাস মানুষের কল্পনাশক্তি বাড়ায়। এ জন্য তোমাদের বই পড়তে হবে। বিভিন্ন রকমের বই আছে, তা পড়তে হবে এবং প্রতিদিন পড়তে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বুধবার নারায়ণগঞ্জে আয়োজিত এক বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এসব কথা বলেন।
পশ্চিম দেওভোগের ভূইয়ারবগ এলাকায় বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলে ‘কৈশোরে তারুণ্যে বই’ প্রতিপাদ্যে এ বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে।
জাফর ইকবাল বলেন, আমি ছোটদের জন্য বই লিখি, তাই তারা আমাকে অনেক পছন্দ করে। তারা আমাকে লম্বা চিঠি লেখে। একটি চিঠি এলো, সেখানে লেখা, ‘আমি বই পড়তে পছন্দ করি, কিন্তু আমার বাব-মা আমাকে বই পড়তে দেয় না’। আমি চিঠির উত্তরে লিখেছি, ‘তোমার বাবা-মা যদি তোমাকে খেতে না করে, তবে তুমি লুকিয়ে লুকিয়ে খাও, চুরি করে খাও। ঠিক সেভাবে তোমার বাবা-মা যদি তোমাকে বই পড়তে না দেয়, তুমি লুকিয়ে লুকিয়ে বই পড়ো, বাথরুমে গিয়ে বই পড়ো, প্রয়োজনে কাঁথার নিচে টর্চলাইট জ্বালিয়ে বই পড়ো’।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, তোমরা বঙ্গবন্ধুর নাম শুনেছ? তোমরা হয় তো ভাবছ এই মানুষটা কি পাগল, বঙ্গবন্ধুর নাম জিজ্ঞাসা করে? বাংলাদেশের কে বঙ্গবন্ধুর নাম শোনেনি? ১৯৯৪ সালে যখন দেশে আসলাম, তখন দেশে কেউ বঙ্গবন্ধুর নাম বলতে পারত না। একটা সময় ছিল যখন বঙ্গবন্ধুর নাম নিলে শাস্তি দেওয়া হতো। শুধু তাই নয়, রেডিওতে বঙ্গবন্ধুর নাম বলা হতো না, টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুকে দেখানো হতো না। ১৯৯৬ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় এলো, তখন টেলিভিশন কিনলাম, নিশ্চয়ই এবার বঙ্গবন্ধুকে দেখানো হবে। ২১ বছর পর প্রথমবার বঙ্গবন্ধুকে টেলিভিশনে দেখানো হলো। আমরা একটি খুব খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে গেছি। যেই মানুষটি স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে একটি দেশ এনে দিলেন, সেই দেশে তার নাম নেওয়া অপরাধ ছিল। আসলে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই জিনিস। পৃথিবীতে খুব কম দেশ আছে, যেখানে একটা মানুষ ও দেশকে একসঙ্গে তুলনা করা হয়।
বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ূনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমত আরা, লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী তুষার আব্দুল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সফিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) নাজমুল হাসান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের ট্রাস্টি সদস্য আব্দুস সালাম, কাশেম জামাল, দেলোয়ার হোসেন চুন্নু, জাকির হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন সোহেল, সালমা পারভিন, আফজাল হোসেন পন্টি ও প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আহসান সাদিক শওন প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।