রাজধানী ঢাকার বাজারগুলোত মুরগি ও সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে টানা বৃষ্টির প্রভাবে বাজারে শাক-সবজি ও মুরগির সরবরাহ কমে যাওয়ায় এসব পণ্যের দাম বেড়েছে।
সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। বাজারে এই নিত্যপণ্য এখন ২৬০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এক সপ্তাহ আগে এটি খুচরায় প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা ছিল। বেশ কয়েকটি সবজির দামও কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা, মহাখালী কাঁচাবাজার ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৬০ থেকে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা। করলা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, টমেটো মানভেদে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লম্বা লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চালকুমড়া প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, টানা তিন দিনের বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সবজি ও কাঁচা মরিচ ক্ষেত ডুবে গেছে। এ জন্য সরবরাহ কিছুটা কম। ফলে দাম কিছুটা বেড়েছে। একই সঙ্গে বাজারে মুরগির সরবরাহও কমেছে।
রাজধানীর বাড্ডার সবজি বিক্রেতা মো. সাইফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, পাইকারি বাজারেই কাঁচা মরিচের সরবরাহ খুব কম থাকায় বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি বাজার থেকে ২৪০ টাকা দরে কাঁচা মরিচ কিনতে হয়েছে। মূলত বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজি ও কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে দাম বেড়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টি দেখে মরিচের আড়তদার ও পাইকারি বিক্রেতারাও বাড়তি দাম নিচ্ছেন।
রাজধানীর রামপুরা কাঁচা বাজারে কথা হয় পারভীন সুলতানার সঙ্গে। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম চাওয়া হচ্ছে ৭০ টাকা, মাত্র চার-পাঁচ দিন আগেও ২৫ টাকা দিয়ে নিয়েছি। এভাবে যদি রাতারাতি পণ্যের দাম দ্বিগুণের বেশি হয়ে যায়, তাহলে আমরা কিভাবে চলব! বৃষ্টির অজুুহাত দিয়ে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কাঁচা মরিচের দাম বাড়িয়ে ভোক্তার পকেট কাটছে।’
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টির কারণে বাজারে মুরগির সরবরাহও কিছুটা কম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে সোনালি মুরগি প্রতি কেজি মানভেদে ২৯০ থেকে ৩২০ টাকায় এবং ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৩০ টাকা।
মুরগি বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে খামারি পর্যায় থেকে ঠিকমতো বাজারে মুরগি আনা যাচ্ছে না। অল্প কিছু মুরগি আনা হলেও বাড়তি গাড়িভাড়া দিতে হচ্ছে। এ জন্য দাম কিছুটা বেড়েছে।
বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি মানভেদে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, দেশি আদা ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, দেশি রসুন ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, দেশি মসুর ডাল (চিকন দানা) ১৪০ টাকা, আমদানি করা মসুর ডাল (মোটা দানা) ১১৫ থেকে ১২০ টাকা।
ফরিদপুরে কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা কেজি : ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুরে টানা বৃষ্টিতে হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ পাইকারিতে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রকারভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২২০ থেকে ২৪০ টাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা শহরের চকবাজার, কানাইপুর বাজার, বোয়ালমারী পৌর বাজার, মধুখালী বাজার, আলফাডাঙ্গা বাজার ও ভাঙ্গা বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।