জুমবাংলা ডেস্ক : প্রতিকূল আবহাওয়ায়ও দেশে রেকর্ড চা উৎপাদিত হয়েছে। গত মৌসুমে উৎপাদন ছাড়িয়েছে একশ’ মিলিয়ন কেজি। তবে পর্যাপ্ত দাম না পাওয়ায় গুণগত মানের অনেক চা-ই রয়ে গেছে অবিক্রিত। দেশি চা শিল্পের সুদিন ধরে রাখতে বিদ্যমান মূল্যস্তরও বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের।
১৮৫৭ সালে সিলেটের মালিনিছড়া বাগানের মাধ্যমে দেশে বাণিজ্যিকভাবে চায়ের উৎপাদন শুরু হয়। ১৬৬ বছর পেরিয়ে এখনকার ১৬৮টি চা-বাগানের অধিকাংশই মৌলভীবাজারে।
ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ১০ কোটি ২৯ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে এবার। খরাসহ বিরূপ আবহাওয়ায়ও এ অর্জনের পেছনে ছিল চা বোর্ডের নজরদারি এবং শ্রমিকদের অতিরিক্ত পরিশ্রম।
বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্র পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, “২০২৩ শেষে আমাদের উৎপাদন ১শ’ ২ মিলিয়ন কেজি। এটা বিকাশ একটা সাফল্য।”
উৎপাদন বাড়লেও গত পাঁচ বছরেও দাম না বাড়ায় খুশি নন চা বাগান মালিকরা। অভিযোগ, ভারত থেকে চোরাইপথে নিম্নমানের চা আসায় গুণগত মানের চায়ের সঠিক দামও পাচ্ছেন না তারা।
বাংলাদেশি চা সংসদ চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী বলেন, “মালিকরা পর্যাপ্ত দাম পাচ্ছেনা। যার জন্য অনেক চা খরচের চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। নকল চা বাজারে আসার ফলে ভালো চায়ের দাম পাওয়া যাচ্ছেনা।”
শ্রী গোবিন্দপুর চা বাগান স্বত্বাধিকারী মহসিন মিয়া মধু বলেন, “বিশেষ করে চোরাইপথে ভারত থেকে চা আসে। এগুলো যদি বন্ধ না করা হয় তাহলে এই শিল্প বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে।”
চা-বোর্ড বলছে, উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পাশাপাশি চায়ের ক্ষুদ্রায়তন চাষ বাড়ানো প্রয়োজন।
চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. রফিকুল হক বলেন, “বৃহত্তর ময়মনসিংহ এবং পার্বত্যাঞ্চলে অনেক জায়গা পতিত পড়ে আছে, যেখানে কোনো ফসল হচ্ছেনা। এখানে যদি আমরা চা উৎপাদন করতে পারি তাহলে আভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা যাবে।”
চোরাইপথে আনা এবং আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ করে রপ্তানি বাড়ানোসহ মানসম্মত চায়ের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের তাগিদ সংশ্লিষ্টদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।