আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনী রতন টাটা মারা গেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে বর্ণাঢ্য জীবনের ইতি ঘটে ৮৬ বছর বয়সি এই শিল্পপতির।
১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে পারসিক পরিবারে জন্ম হয় রতন টাটার। রতন টাটার যখন ১০ বছর বয়স, সেই সময় তার মা-বাবা আলাদা হয়ে যান। তার দাদি নওয়াজবাই টাটার কাছে বেড়ে ওঠেন তিনি। রতন টাটার এক ভাই জিমি টাটা, আরেকজন সৎভাই নোয়েল টাটা।
মুম্বাই, শিমলা হয়ে নিউইয়র্কের রিভারডেল কান্ট্রি স্কুলে পড়তে যান রতন টাটা। ১৯৫৯ সালে স্থাপত্য নিয়ে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে। সাতের দশকে (সত্তরের) টাটা গ্রুপে ম্যানেজার পদে দায়িত্ব পান রতন টাটা। ১৯৯১ সালে জেআরডি টাটা দায়িত্ব ছাড়লে তিনি রতন টাটাকে নিজের উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেন। প্রথমে তাকে নিয়ে আপত্তি ছিল গ্রুপের ভেতরে কিন্তু সময়ের সঙ্গে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে তার।
সাধারণ মানুষের মনে সর্বদা একটি প্রশ্ন ছিল, কেন রতন টাটা অবিবাহিত? তবে মজার ব্যাপার হলো, একবার নয় দুবার নয়, রীতিমতো চারবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে, প্রায় তার বিয়ে হয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু নানা কারণে বিয়ে করতে পারেননি। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে কাজ করার সময় তিনি প্রেমে পড়েছিলেন। কিন্তু ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের কারণে মেয়েটির বাবা-মা তাকে ভারতে পাঠানোর বিরোধিতা করেন। সে সময় তিনি দেশে ফিরে আসেন। এরপর আর বিয়ে করা হয়নি তার।
রতন টাটার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি নিজের এক্স মাধ্যমে রতন টাটার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, রতন টাটা একজন দূরদর্শী মানুষ ছিলেন। একজন অসাধারণ মানুষ ছিলেন। তার নম্রতা এবং আমাদের সমাজের উন্নতিতে ভূমিকার জন্য রতন টাটাকে মনে রাখবে সবাই।
এদিকে মাত্র ২১ বছর বয়সে রতন টাটার হাতে টাটা গ্রুপের দায়িত্ব নেয়, তাতে গ্রুপের আয় বেড়ে হয় ৪০ গুণ, মুনাফা বাড়ে ৫০ গুণ। ২০১৭ সালে নটরাজন চন্দ্রশেখরণকে অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সমাজসেবামূলক কাজে আরও বেশি করে যুক্ত হন রতন।
২০০০ সালে ‘পদ্মভূষণ’ ও ২০০৮ সালে ‘পদ্মবিভূষণ’ সম্মাননা পান রতন টাটা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।