জুমবাংলা ডেস্ক : নাটোরের গুরুদাসপুরে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন ভেস্তে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তবে ঘটনা আরও নাটকীয় মোড় নেয় ইউএনও আসছেন- এমন খবরে। খবর পেয়ে বাল্যবিয়ের কনেকে বদলে বসানো হয় এক বিবাহিত নারীকে! শুক্রবার সন্ধ্যায় গুরুদাসপুর পৌরসভার খলিফাপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার দিনব্যাপী প্রস্তুতি চলছিল বাল্যবিয়ের। আয়োজনও ছিল জাঁকজমকপূর্ণ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিয়ে বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে উপস্থিত হন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ। ইউএনওর আগমনের সংবাদে কনের পরিবার আসল কনেকে গোপনে সরিয়ে ফেলে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েটির জায়গায় কনে সাজিয়ে বসানো হয় এক বিবাহিত নারীকে। প্রশাসনের উপস্থিতি দেখে এ সময় শুধু কনেই নয়, বিয়ে বাড়ি থেকে বর ও বরযাত্রীরাও দৌড়ে পালিয়ে যায়।
তবে বিয়ে বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেলে ইউএনও ‘সাজানো’ কনেকে নিয়ে যান উপজেলা অফিসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই ওই নারী সব কিছু স্বীকার করে নেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাল্যবিয়ের মূল আয়োজক কনের দাদা বজলুর রশিদকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ বলেন, ‘বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান কঠোর। একজন শিশুর জীবন ধ্বংস হোক তা কোনোভাবেই হতে দেওয়া হবে না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।