জুমবাংলা ডেস্ক : স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, আগামী ২০৩০ সালেই বাংলাদেশ উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। সে লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার।
রোববার (২৪ জুলাই) দুপুরে কুমিল্লা আদালত প্রাঙ্গণে জেলা আইনজীবী সমিতির ১১ তলা ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পঞ্চবার্ষিক কর্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে বর্তমানে নিম্নমধ্যম আয়ের তালিকায় আছে বাংলাদেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে তা উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করার লক্ষে এগোচ্ছে সরকার। উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছাতে হলে মাথাপিছু আয়ের প্রয়োজন ৪ হাজার মার্কিন ডলার। সেটা বাস্তবায়ন হবে ২০৩০ সালের মধ্যেই।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর একটি জরাজীর্ণ রাষ্ট্রকে স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বচ্ছল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন মধ্যম আয়ে পরিণত হয়েছে। আগামী ২০৩০ সালে তার (প্রধানমন্ত্রীর) নেতৃত্বেই উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।
স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। তারপর ১৯৭১ সালে যুদ্ধ হলো, দেশ স্বাধীন হলো। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই দেশে স্বাধীনতা এসেছে। তাহলে স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে এত বিতর্ক কেন? এটা নিয়ে তো বিতর্ক থাকার কথা নয়!
কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বাহার ভাই আমার সিনিয়র বড় ভাই। আমি যখন ছাত্র ছিলাম তখন থেকেই তাকে অনুসরণ করতাম। আমি দেখেছি একজন বাহার, এক দিনে সৃষ্টি হয়নি। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর সাধনা করার পর আজকে আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের সৃষ্টি।
আমি মনে করি, কুমিল্লাকে নেতৃত্ব দিতে বাহার ভাইয়ের বিকল্প কেউ নেই। আমি মন্ত্রী হওয়ার পর আজ পর্যন্ত বাহার ভাই কারও জমি দখল করেছে, কারও ওপরে জুলুম করেছে, এমন কথা শুনিনি। আমি বিশ্বাস করি বাহার ভাইয়ের হাত ধরে কুমিল্লা অনেকদূর এগিয়ে যাবে।
রোববার দুপুরে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির ১১ তলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। এ সময় কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম খান বক্তব্য রাখেন।
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারপতি আতাবুল্লাহ খন্দকারের সভাপতিত্বে এ সময় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।