জুমবাংলা ডেস্ক : পুকুরে জনা পনেরো-ষোল যুবক কখনো সাঁতার, আবার কখনো ডুবসাঁতারে একটি হাঁসের পেছনে ছুটছে। আধা ঘণ্টার দাপাদাপিতে অবশেষে এক যুবকের হাতে ধরা দেয় হাঁসটি। সেই সঙ্গে উৎসুক মানুষ চিৎকার ও করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান তাকে। সেই যুবকটিও হাঁসটি দুই হাতে তুলে ধরে অভিনন্দনের জবাব দেন।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর এলাকায় হাঁস ধরা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাশিদুল ইসলাম মুকুল মিয়া এ প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে।
জানা গেছে, বাঁশিতে ফুঁ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুকুরের মাঝখানে একটি হাঁস ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় হাঁস ধরার প্রতিযোগিতা। পরপর তিন দফায় এই প্রতিযোগিতা চলে। ছোট, মাঝারি ও বড়দের মধ্যে এই খেলায় বড়দের দলে রাশিদুল ইসলাম মুকুল মিয়া নিজেই অংশগ্রহণ করে। রাশিদুল ইসলাম মুকুল বলেন, আমাদের এলাকার ঐতিহ্যবাহী সব খেলা হারিয়ে যেতে বসেছে। হারিয়ে যাওয়া এমন সব খেলা নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করতে পুকুরে হাঁস ধরা প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর খেলা উপভোগ করেন কয়েক শ মানুষ। আগামীতে এটি অব্যাহত থাকবে।
গৃহবধূ আকলিমা খাতুন প্রতিযোগিতা দেখতে এসে জানায়, এমন খেলা এর আগে কখনো সে দেখেনি। এবার দেখে তিনি খুবই আনন্দ পেয়েছে। এমন খেলা ধরে রাখা উচিৎ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।