আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো সাতটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ক্রিপ্টো রাজা খ্যাত এফটিএক্সের (ক্রিপ্টো কারেন্সির এক্সচেঞ্জ) সাবেক এই সিইও স্যাম ব্যাংকম্যান-ফ্রাইড। এজন্য তাকে ১১৫ বছরের কারাভোগ করতে হতে পারে।
পাঁচ সপ্তাহের বিচার শেষে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন বলে টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদনে জানা যায়। জালিয়াতি সংক্রান্ত ছয়টি ও অর্থ পাচারসংক্রান্ত একটি অভিযোগের রায় দিতে আদালত প্রায় চার ঘণ্টা সময় নিয়েছেন।
নিউইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টের অ্যাটর্নি অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এফটিএক্সের কাছে জমা রাখা বিলিয়ন ডলার গ্রাহক তহবিলের অপব্যবহার, এফটিএক্স এবং অ্যালামেডা রিসার্চ কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের ও ঋণদাতাদের বিভ্রান্ত করার’ অভিযোগ আনা হয়েছে ব্যাংকম্যান-ফ্রাইডের বিরুদ্ধে।
এই বড় ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জটি ও এর ট্রেডিং কোম্পানিটিতে গত বছর কীভাবে ধস নামে তা নিয়ে গভীরভাবে অনুসন্ধান করে আদালত। এজন্য প্রায় ১১ মাস আগে ৩১ বছর বয়সী ব্যাংকম্যান-ফ্রাইডকে অভিযুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।
২০২২ সালের নভেম্বরে কয়েনডেস্ক এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে ট্রেডিং কোম্পানি অ্যালামেডা রিসার্চের ত্রুটিপূর্ণ ব্যয়ের হিসেব সবার সামনে নিয়ে আসে। এর ফলে এফটিএক্সের মূলধন নিয়ে বিশ্বে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়।
এফটিএক্স ও অ্যালামেডার নির্বাহীরা গ্রাহক তহবিল থেকে ৮০০ কোটি ডলার চুরি করেছে বলে অভিযোগ তোলা হয়।
ব্যাংকম্যান-ফ্রাইড তাঁর সাক্ষ্যে বলেন, তিনি গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করেননি বা এফটিএক্স তাদের তহবিল নেয়নি। তবে অ্যালামেডা এক্সচেঞ্জ থেকে অর্থ ‘ধার করেছিলেন’।
তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, ব্যাংকম্যান-ফ্রাইড মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং এফটিএক্সের হাজার হাজার বিনিয়োগকারীদের বিলিয়ন ডলার ক্ষতির জন্য তিনিই দায়ী। ব্যাংকম্যান চাইলে তার ভুল সংশোধন করতে পারতেন। তবে তিনি তা করেননি।
২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস বলেছে, ব্যাংকম্যান জেনেশুনে এফটিএক্সের গ্রাহকদের অর্থ ঋণ ও খরচ পরিশোধ করার জন্য অন্য কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন। আদালত এসব অভিযোগের অনেক প্রমাণ পেয়ে বিচারকেরা স্যামকে দোষী সাব্যস্ত করে।
এই সাতটি অপরাধের জন্য তাকে ১১৫ বছরের কারাভোগ করতে হতে পারে।
সংবিধিবদ্ধ সর্বোচ্চ সাজা গুলি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস দ্বারা ‘শুধুমাত্র তথ্যমূলক উদ্দেশ্য’ হিসাবে প্রদান করা হয়। যে কোনো সাজা সাধারণত রায়ের ৯০ দিনের মধ্যে একজন বিচারক নির্ধারিত করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।