লাইফস্টাইল ডেস্ক : অনেকেই আছেন সকালে ঘুম থেকে উঠে না খেয়ে অফিসে ছুটেন। সময়ের অভাবে নিয়মিত নাস্তা করে বের হতে পারেন না। অন্য দুই বেলা ঠিকমতো খাবার খেয়ে থাকেন। বলা হয়, সকালের নাশতা হবে রাজার মতো, রাতের খাবার প্রজার মতো। এর মানে হলো, সকালের খাবার খাওয়া শুধু জরুরিই নয়, শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ, মানুষ যখন রাতে ঘুমিয়ে থাকে, তখন তার কোনো শারীরিক পরিশ্রম ও শক্তি খরচ করার দরকার হয় না।
শুধু শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অঙ্গের কাজ করতে সামান্য শক্তি লাগে, যাকে ‘বেজাল মেটাবলিক রেট’ বলে। রাতে কম খেলেও সমস্যা হয় না। কিন্তু রাতে দীর্ঘ সময় (৮-১০ ঘণ্টা) না খেয়ে থাকার কারণে ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর শরীরে এনার্জিসহ বিভিন্ন পুষ্টির চাহিদা বেশি থাকে, আর তা পূরণ করতে সকালে সুষম খাবার খাওয়া জরুরি।
যদি সময়ের অভাব হয় তাহলে সহজে তৈরি করা যায় এমন নাস্তা বেছে নিতে পারেন। যেমন-সকালের নাশতা খুব সহজে তৈরি করতে চিড়া-দুধ/দই-কলা, চিড়ার পরিবর্তে সাগু, খই, ওটস্, কর্নফ্লেক্স, পরিজ, পাউরুটি, চাপাটি ইত্যাদি খেতে পারেন। রাতে খাবার তৈরি করে, ফ্রিজে রেখে সকালে খাওয়া যেতে পারে।
সকালে উঠতে দেরি হলে তৈরি করা নাশতা সঙ্গে নিয়ে বের হয়ে পড়ুন। নিজস্ব যানবাহন থাকলে যাতায়াতের পথে আর না থাকলে কাজের জায়গায় গিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। কাজের জায়গায় যদি স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যবস্থা থাকে, সেখান থেকেও খেতে পারেন। যেভাবেই হোক সকালের নাশতা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি। তাই একদিনের জন্যও নাশতা বাদ দেওয়া অস্বাস্থ্যকর ও ঝুঁকি তৈরি করতে পারে
যদি কেউ সকালের নাশতা বাদ দেন, তাহলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে আছে অ্যাসিডিটি, পেট ফাঁপা, অরুচি, আলসার। কাজ করার মনোযোগ ও ক্ষমতা একটু একটু করে কমতে থাকে। শরীরের ওজন ও এনার্জি কমে যেতে পারে। বিপরীতে অনেক সময় পর, অনেক খিদে নিয়ে দুপুরে বেশি খাওয়া হয়ে যায়। এতে দ্রুত ওজন বাড়তে থাকে।
গ্লুকোজ কমে গিয়ে মেজাজ খিটখিটে হয়ে পড়ে, ঝিমুনি ভাব আসে। এমন আরও অনেক রোগের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে সকালে না খেলে। এই কারণে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে কোনো ভাবেই সকালের খাবার বাদ দেওয়া যাবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।