Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে বদলে গেছে লাখো জাহেরার জীবন
জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে বদলে গেছে লাখো জাহেরার জীবন

Sibbir OsmanNovember 29, 20238 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের জাহেরা বেগম। প্রতিবন্ধী স্বামী ও চার ছেলে-মেয়ে নিয়ে এক সময় খালের পাড়ে বসবাস করতেন তিনি। খালের পানি খেয়ে, বৃষ্টিতে ভিজে দিন কাটত তাদের। রাস্তার পাড়ে থাকায় তাদের কোনো সমাজ ছিল না। গৃহহীন হওয়ায় লোকে তাদের সম্মান তো দিতই না, কেবল অবহেলা করত। কিন্তু এখন আর জাহেরা বেগমের সেইদিন নেই। তিনি এখন তার পরিবার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে সুখে-শান্তিতে বসবাস করছেন। নিজ বাড়ির আঙিনায় হাস-মুরগী পালন, শাকসবজি চাষ ও নকশীকাঁথার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন জাহেরা। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুইশতক জমিসহ ঘর পরিবারটির জীবন বদলে দিয়েছে। জাহেরা বেগম বলেন, আমাদের গর্ভধারিণী মা আমাদের যা দিতে পারেননি, শেখ হাসিনা আমাদের তা দিয়েছেন। এজন্য উনার কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নাই।

শেখ হাসিনা

আশ্রয়ণের ঘর পাওয়া সুবিধাভোগীদের আরেকজন ভ্যানচালক আবদুর রহিম। চার মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে ব্রিজের গোঁড়ায় ঝুপড়ির মতো ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করতেন তিনি। বৃষ্টি হলে ঘরে পানি পড়তো। জীবনে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে তাদের। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাওয়ার পর তাদের আর সেই সমস্যা নেই। রহিম বলেন, আমাদের নিজের কোনো ঘর ছিল না। অর্থের অভাবে মেয়েদের পড়াশোনাও করাতে পারিনি। যা রোজগার করতাম সংসারই ঠিকমতো চলত না। এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ঘর পেয়ে আমরা খুবই ভালো আছি। এখানে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট, পানি, বিদ্যুৎ ও রাস্তাসহ সব ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের জীবন এখন আর আগের মতো নেই, পুরোপুরি বদলে গেছে। লোকে এখন আমাদের সম্মানের চোখে দেখে।

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বাগবাড়ি গ্রামের কৃষক আইয়ুব আলী। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণের ঘরে থেকে নিজের তিন মেয়েকে পড়াচ্ছেন। বড় মেয়েকে একটি বেসরকারি ব্যাংকের অফিসারের কাছে বিয়ে দিয়েছেন। শুনে চোখ কপালে উঠলেও, এটাই বাস্তব। আশ্রয়ণের ঘর এভাবেই তাদের জীবন বদলে দিয়েছে। অন্যদিকে পাশের গ্রামের বিন্নাকান্দির বাসিন্দাদের একই চিত্র। মাত্র দুই বছর আগেও এখানকার শাহানা বেগম ও শরিফ উদ্দিন আর দশটা হতদরিদ্র পরিবারের মতোই ছিল। আজ তাদের রয়েছে ছয়টি গরু, একটি ছাগল, সঙ্গে একটি মিশুক। দুই ছেলে এখন স্কুলে যায়। স্বামীর পরিশ্রমের অর্ধেক টাকা সঞ্চয় হয় তাদের পরিবারে। তিন সন্তান ও স্বামী নিয়ে আগের থেকে অনেক ভালোই আছেন শাহানা বেগম। তিনি বলেন, বছর দুয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণের ঘর পাওয়ার আগে আমাদের জীবন এমন ছিল না। আমরা আগে মাটির ঘরে থাকতাম, খুব কষ্ট করে থাকতে হতো। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঘর পাওয়ার পর এখন অনেক ভালো আছি। শেখ হাসিনার জন্য এখন আমাদের জীবনে কোনো দুঃখ নেই।

শেখ হাসিনা1

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী আরেকজন লক্ষ্মীপুরের মনিরা বেগম। তাদের কোনো জমি বা ঘর ছিল না। পরিবার নিয়ে কার্যত খোলা আকাশের নিচে বাস করতেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুই শতক জমিসহ ঘর পেয়ে মনিরার মুখে হাসি ফুটেছে। মনিরার মতে, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া বিনামূল্যে ‘উপহার’ হিসেবে এক টুকরা জমি ও বাড়ি হাজার হাজার আশ্রয়হীন মানুষকে খুশি করেছে। মনিরা বললেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প আমার পরিবারের জীবনধারাকে বদলে দিয়েছে, কারণ বাড়িটি আমাকে জীবিকার উৎস এবং সেইসাথে পানি সরবরাহ, স্বাস্থ্যবিধি এবং স্যানিটেশনের মতো কিছু অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তৈরি করেছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় এভাবেই সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বেদে, তৃতীয় লিঙ্গ, জলবায়ু উদ্বাস্তু, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ সকল ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষদের দুই শতক জমিসহ ঘর দিয়ে তাদের সামাজিক মান মর্যাদা উন্নত করা এবং তাদেরকে উন্নয়নের মূলস্রোতে নিয়ে আসছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। শুধু নোয়াখালীর জাহেরা বেগম, সিলেটের আইয়ুব আলী ও শাহনা বেগমই নয়, তাদের মতো আরও লাখ লাখ পরিবারের জীবন বদলে গেছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমিসহ ঘর পাওয়ার পর। কেননা শেখ হাসিনার সরকার শুধু জমিসহ ঘর দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেনি। বরং উপকারভোগীদের স্থায়ীভাবে জীবন মান উন্নয়নের জন্য ভিজিএফ সুবিধা প্রদান, কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, সমবায় সমিতি গঠন ও ঋণ প্রদান, কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, পুকুর খনন ও মৎস্য চাষ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ, বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ প্রদান, বৃক্ষরোপণ, গভীর ও অগভীর নলকূপ স্থাপন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা এবং বিনামূল্যে শিক্ষা কার্যক্রমসহ আরও বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ লাখ ছিন্নমূল মানুষ পুনর্বাসিত হয়েছেন। উপকারভোগীর সংখ্যা ও পুনর্বাসন পদ্ধতি বিবেচনায় এটি বিশ্বের বৃহত্তম সরকারি পুনর্বাসন কর্মসূচি। কিছুদিন আগেও যাদের ছিল না কোনো মাথা গোঁজার ঠাঁই, তারা এখন রঙিন টিন আর আধাপাকা বাড়িতে বসবাস করছেন। প্রশিক্ষণ ও ঋণ নিয়ে কৃষি থেকে শুরু করে নানান কাজের মধ্যে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন তারা। কেউ বাড়ির আঙ্গিনায় শাক-সবজির চাষ করছেন, আবার কেউ কেউ হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল, কবুতর লালন পালন করে স্বনির্ভর হয়েছেন। তাদের বদলে যাওয়ার গল্পগুলো প্রায়ই দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পর ইতিহাস-
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। স্বাধীনতার পর একদিকে যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে দেশ পুনর্গঠনের মহাযজ্ঞ, অন্যদিকে আকস্মিক বন্যা, নদীভাঙন, ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘরবাড়ি হারানো অসহায় ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসন করা সদ্য স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রনায়কর কাছে ছিল বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। স্বাধীনতার ঊষালগ্নে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন নোয়াখালী বর্তমান লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রামে ভূমিহীন-গৃহহীন, অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর দেশের গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবার পুনর্বাসনের মতো জনবান্ধব ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো স্থবির হয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু হত্যার দীর্ঘ ২১ বছর পর তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর জনবান্ধব ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো পুনরায় শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিনে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন এবং একই বছর তিনি সারাদেশের গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে শুরু করেন ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’। এ প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি এদেশের ভাগ্যবিড়ম্বিত ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বদলে দেওয়ার এক নতুন উন্নয়ন দর্শনের গোড়াপত্তন করেন।

প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য-
ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন করা, প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদানের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা, আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র দূরীকরণ, উপার্জন ক্ষমতা ও সঞ্চয় বৃদ্ধি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা, সম্মানজনক জীবিকা ও সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা, নারীদের জমিসহ ঘরের অর্ধেক মালিকানা দিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন করা, আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদাবোধ অর্জন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়িয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন করা, ব্যাপকহারে বনায়ন ও বৃক্ষরোপণ করে পরিবেশের উন্নতি সাধন করা এবং গ্রামেই শহরের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।

উপকারভোগীর পরিসংখ্যান-
২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ বলে ঘোষণা দেন। এ লক্ষ্যে দেশের ৬৪ জেলার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের তালিকা করা হয়। তালিকা অনুযায়ী ‘ক শ্রেণি’ অর্থাৎ একেবারেই ভূমিহীন ও গৃহহীন ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩৬১ পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। এ ছাড়া যার জমি আছে কিন্তু ঘর নেই অথবা জরাজীর্ণ ও ভঙ্গুর ঘর রয়েছে এমন ‘খ শ্রেণি’ ভুক্ত ৫ লাখ ৯২ হাজার ২৬১টি পরিবারের তালিকা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সাল থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত চারটি ধাপে সারাদেশে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পরিবারে গড়ে পাঁচজন করে সদস্য হিসাবে মোট ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৩৫ জন ছিন্নমূল মানুষ পুনর্বাসিত হয়েছেন। উপকারভোগীর সংখ্যা ও পুনর্বাসন পদ্ধতি বিবেচনায় এটি বিশ্বের বৃহত্তম সরকারি পুনর্বাসন কর্মসূচি। এর মাধ্যমে দেশের ২১টি জেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৪৩২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। দেশের ৬৪ জেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্প চলমান থাকবে বলে জানা গেছে।

যেসব সুবিধা পাচ্ছেন উপকারভোগীরা-
আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী যৌথ মালিকানায় বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ ও সুপেয় পানির সুবিধাসহ ২ শতক জমি ও একটি সেমি পাকা ঘরের মালিক হচ্ছেন। এতে রয়েছে গোসলখানা, টয়লেট ও রান্নাঘর। প্রকল্প এলাকায় প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানো হচ্ছে। প্রতি ১০টি পরিবারের সুপেয় পানির জন্য থাকছে একটি করে নলকূপ। ফলে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ থেকে মুক্ত থাকবেন সুবিধাভোগীরা। তাদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য নির্মিত হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক। আশ্রয়ণের ছেলে-মেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শিশু-কিশোরদের শরীর গঠন ও বিনোদনের জন্য প্রকল্প এলাকায় রয়েছে খেলার মাঠ। একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আধুনিক গ্রামের সব নাগরিক সুবিধাই থাকছে আশ্রয়ণ প্রকল্পে। অনগ্রসর ও ছিন্নমূল পুনর্বাসিত পরিবারসমূহ বসত ভিটার আঙ্গিনায় সবজি চাষ, পশু পালনসহ প্রকল্পের সংলগ্ন পুকুরে মৎস্য চাষ করছেন। তাদেরকে উৎপাদনমুখী কাজের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। বিশেষ করে ব্যারাকে বসবাসকারী সুবিধাভোগীদের মৎস্য চাষ, পাটি বুনন, নার্সারি, নকশীকাঁথা, ওয়েল্ডিং, ইলেকট্রিক ওয়ারিং এবং রিকশা-সাইকেল-ভ্যান গাড়ি মেরামতের মতো ৩২টি পেশায় প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ চলাকালে তাদের আয়-রোজগারের যেন ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য প্রতিদিন ৭৫০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ পরবর্তী সময়ে উপকারভোগীরা সমবায় সমিতি গঠন করে আয়-বর্ধনকারী ব্যবসা বা পেশা চালুর জন্য ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পাচ্ছেন। ব্যারাকে পুনর্বাসিত পরিবার প্রতি প্রাথমিকভাবে তিন মাসের ভিজিএফ-এর আওতায় খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি মাতৃত্বকালীন, বয়স্ক, বিধবা, বা অন্যান্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ভাতা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন তারা। অর্থাৎ আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে একজন নিঃস্ব ব্যক্তিকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মানবসম্পদে পরিণত করে প্রতিষ্ঠিত করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করলেন জয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর, গৃহহীন প্রান্তিক ও অতি-দরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ অনুধাবন করে, তাদের পুনর্বাসনে ‘আশ্রয়ণ’ নামের যে প্রকল্পের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা আজ বহূলাংশে বাস্তবে রূপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী আর্থ-রাজনৈতিক সেই চিন্তা-চেতনার সুফল ভোগ করছে লাখ লাখ পরিবার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতির মূল দর্শনই ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। বঙ্গবন্ধুর কন্যা সেই লক্ষ্য পূরণে দিন-রাত কাজ করে চলেছেন। ‘কাউকে পেছনে ফেলে নয়, সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে সামনে এগিয়ে যাওয়ার’-দর্শনটি আজ বাংলাদেশের অগ্রগতির অভিযাত্রায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল হিসেবে সমাদৃত। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলাদেশ’ এর দিকে ক্রমশ আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। দৃঢ়ভাবে আশা করছি, শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। পরিচিতি : সজিব খান, সাংবাদিক

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘জাতীয় গেছে ঘরে জাহেরার জীবন দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বদলে লাখো শেখ হাসিনা
Related Posts
Wather

তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে

December 18, 2025
Hajj

৭০ ঊর্ধ্বে হজযাত্রীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানানোর অনুরোধ

December 18, 2025
হাদি

হাদিকে লম্বা সময় আইসিইউতে থাকতে হতে পারে : ডা. রাফি

December 18, 2025
Latest News
Wather

তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে

Hajj

৭০ ঊর্ধ্বে হজযাত্রীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানানোর অনুরোধ

হাদি

হাদিকে লম্বা সময় আইসিইউতে থাকতে হতে পারে : ডা. রাফি

হাদি - প্রধান উপদেষ্টার

হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন, দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ইনকিলাব মঞ্চ

ওসমান হাদির মৃত্যুর সংবাদ সত্য নয় : ইনকিলাব মঞ্চ

নতুন পে স্কেল

৫ ঘণ্টার বৈঠক শেষে নতুন পে স্কেল নিয়ে হলো যে সিদ্ধান্ত

BD-IND

বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলবের পর যা জানাল দিল্লি

Savar

হাদিকে হত্যার ছক কষা হয় সাভারে!

দিল্লিতে বাংলাদেশি হাইকমিশনারকে তলব

বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব

অমর একুশে বইমেলা

অমর একুশে বইমেলা শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.