ধর্ম ডেস্ক : দাড়ি, গোঁফ পুরুষের প্রাকৃতিক চিহ্ন। পরিণত বয়সে পুরুষের চেহারায় দাড়ি গোঁফ উঠতে দেখা যায়। সময়ে সময়ে তা বাড়তে থাকে। অনেকেই দাড়ি-গোঁফ কেটে ফেলেন। কেউ কেউ রেখে দেন। ধর্মীয় বিধানে রাখার এবং গোঁফ ছোট করার কথা বলা হয়েছে। আল্লাহর রাসূল সা. -এর দাড়ি, গোঁফ ছিল, না কেটে রেখেন এবং কীভাবে তা রাখা যেতে পারে এ বিষয়ে উম্মতকে নির্দেশনা দিয়েছেন। বিভিন্ন হাদিসে তার নির্দেশনা বর্ণিত হয়েছে।
হানাফী আলেমদের মতে, দাড়ি রাখা ওয়াজিব। অপরদিকে সৌদি আরব ও অন্যান্য হাম্বলী ফকীহদের মতে, দাড়ি রাখা ফরজ। আর তা কাটা অর্থাৎ মুণ্ডন করা হারাম।
তবে গোঁফ ছোট রাখতে হয়। ইমাম নববীর মতে, গোঁফ ছোটো করে রাখা সুন্নাত। অপর একদল ফকীহ বলেছেন, এটা ওয়াজিব।
হজরত ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, তোমরা মুশরিকদের বিপরীত কাজ কর, দাড়ি লম্বা কর, আর গোঁফ ছোট কর। (বুখারি, হাদিস : ৫৮৯২, মুসলিম, হাদিস : ২৫৯)
নবীজি সা. আরও বলেছেন, তোমরা গোঁফ কেটে রাখ, দাড়ি ছেড়ে দাও। আর অগ্নি উপাসকরা যা কিছু করে তার বিপক্ষে থাক। (মুসলিম, হাদিস : ২৬০)
ইবনে আব্বাস রা. আরেক হাদিসে বলেছেন, নবী সা. তাঁর মোচ কেটে বা খাটো করে নিতেন এবং (তাঁর পূর্ববর্তী জামানার আরেকজন নবী) ইবরাহীম খলীলুল্লাহও একই কাজ করতেন (তিরমিজি)
জাবের ইবনে সামুরা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা.-এর দাড়িতে প্রচুর চুল ছিল (মুসলিম)।
অপর এক হাদিসে আলী রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা.-এর দাড়ি ছিল খুব ঘন (আহমাদ)।
ইসলামী ফিকাহবিদদের সর্বসম্মতিক্রমে দাড়ি বলা হয়— দুই চোয়ালের দাঁতবিশিষ্ট হাড়ের ওপর গজানো পশম এবং কান ও চোখের মধ্যবর্তী স্থানে গজানো সারিবদ্ধ পশমকে। কোনো কোনো ইসলামী আইনবিদের মতে, ঠোঁটের নিচের অংশে গজানো পশম ও নাকের উভয় দিক সংলগ্ন গালের ওপর গজানো ও থুতনির নিচের নরম অংশে গজানো পশমও দাড়ির অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এসব পশম কাটা বা উপড়ানো অনুচিত। (রাদ্দুল মুহতার : ১/১০০, ৫/৩৭৩, হিন্দিয়া : ৫/৩৫৮)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।