আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আমরা জানি বিমানবন্দরে শুধু খাবারই নয়, চা, কফি এবং পানির বোতলের দামও আকাশছোঁয়া হয়। তবে তুরস্কের ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরের খাবারের মূল্য যে কাউকে হার মানাতে পারে। কলা থেকে শুরু করে বিয়ার পর্যন্ত এই বিমানবন্দরে দাম আকাশছোঁয়া, যা আপনাকে ব্যাংক ব্যালেন্স সম্পর্কে পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করতে পারে।
বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, কলার মতো সাধারণ খাদ্যদ্রব্যের দামও আশ্চর্যজনকভাবে বেশি। একটি কলার দাম এখানে ৫৬৫ টাকা। বিয়ারের দাম দেড় হাজার টাকা। ৯০ গ্রাম ওজনের লাজানিয়া খেতে গেলে খরচ করতে হবে ২১ হাজার টাকা। ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে খাবারের এই দাম শুনে অনেক পর্যটকদের মনেই প্রশ্ন উঠেছে, ‘খাবারের ন্যায্য দাম নেওয়া হচ্ছে কি?’ ঘুরতে আসলেও যাঁদের টানটান বাজেট, তাঁদের জন্য অবশ্যই এত দাম দিয়ে খাবার কেনা সম্ভব নয়। এমনকি দামের নিরিখে খাবারের মানও নাকি অনেকটাই কম, অভিযোগ করেছেন যাত্রীদেরই একাংশ।
জানা যাচ্ছে, ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্টের অবস্থান এবং জনপ্রিয়তা চড়া দামের নেপথ্যে অন্যতম বড় কারণ। এটি ইউরোপ ও এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থিত। বিশ্বের সেরা পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি ইস্তাম্বুল। প্রতিদিন ২ লক্ষেরও বেশি যাত্রী এই বিমানবন্দরে ওঠা নামা করে। অন্যদিকে, কেনাকাটায় বেশি বিকল্প না থাকায় খাওয়ার দিকেই যাত্রীদের অধিক খরচ হয়। তবে এই চোখ ধাঁধানো দামের কারণে, এটি তাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে যাদের বাজেট কম। ২০২৩ সালেই বিশ্বের সেরা বিমানবন্দরের স্বীকৃতি পেয়েছে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর। আমেরিকার পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচলের ম্যাগাজিন গ্লোবাল ট্রাভেলারের সমীক্ষায় এই স্বীকৃতি পেয়েছে তুরস্কের এই বিমানবন্দরটি।
সূত্র: টাইমস নাও
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।