জুমবাংলা ডেস্ক : এবার কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জে সবার দৃষ্টি কেড়েছে ১৪০০ কেজি ওজনের ষাঁড় ‘উড়াল সড়ক’। ষাঁড়টি লম্বায় ১১ ফুট আর উচ্চতায় ছয় ফুট। জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের খয়রত গ্রামের খামারী মো. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া এই ষাঁড়টির মালিক। তার প্রতিষ্ঠিত ‘উশা ডেইরি ফার্ম অ্যান্ড অ্যাগ্রো’তে জন্ম ও বেড়ে ওঠেছে ষাঁড়টি।
জেলার মধ্যে সবচেয়ে সুদর্শন ও বড় হিসেবে আলোচিত গরুটি দেখতে প্রতিদিন তার খামারে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা। দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন ক্রেতারাও। মালিক ষাঁড়টির দাম হাঁকছেন ১৫ লাখ টাকা।
খামারি মো. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, তার ফার্মের পাশ থেকে হাওরের মিঠামইন পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল সড়ক নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মিঠামইনের সিমান্তবর্তী এলাকা হওয়াই এ কারণে শখ করে খামারের বড় গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘উড়াল সড়ক’।
করিমগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হাছান জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর এবং বড় গরুর একটি ‘উড়াল সড়ক’। এই গরু দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত লোক। দূর-দূরান্ত থেকে এসে অনেকে গরুটি দেখেও যাচ্ছেন। খামারে রেখেই গরুটিকে বিক্রি করতে চান মালিক। তাই এখন পর্যন্ত কোনো হাটে তোলা হয়নি। চার বছর বয়সী এই গরুটি হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের বলে জানিয়েছেন তিনি। এর দাঁত আছে ছয়টি। প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ কেজি খাবার খায়। খাবারের মধ্যে আছে কাঁচা ঘাস, শুকনো খড়, গমের ভূষি, ধানের কুড়া, ছোলা, মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি। সে হিসেবে প্রতিদিন গরুটর পেছনে খরচ হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা।
খামারি মো. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, গত বছর ষাঁড়টির ওজন ছিলো ১২০০ কেজি। তখন দাম উঠেছিল সাড়ে সাত লাখ টাকা। এবছর ওজন ১৪০০ কেজি ছাড়িয়ে গেছে। গরুটির ওজন এখন প্রতিদিন দেড় থেকে দুই কেজি করে বাড়ছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদক কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র পন্ডিত জানান, উড়াল সড়কের খামারি একজন সফল উদ্যোক্তা। তার খামারেই তাকে পেলে-পুষে বড় করা হয়েছে। গরুটির নিয়মিত দেখভাল করেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়। প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে বড় হওয়ায় এটির মাংস খুবই সুস্বাদু হবে। আশা করছি খামারী এটির ন্যায্য মূল্য পাবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।